হাথুরুর কাছ থেকে শিখতে পারেন মিসবাহ

SHARE

পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে সফল হতে পারবেন মিসবাহ-উল হক? জবাবটা দেওয়ার সময় আসেনি। তবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থেকে শিক্ষা নিতে পারেন তিনি
বেশি দিন নয় মাত্র তিন বছর আগে পাকিস্তান দলের হেড কোচের দায়িত্বে ছিলেন ওয়াকার ইউনিস, মিসবাহ-উল হক অধিনায়ক। সময়ের পালাবদলে মিসবাহ এখন জাতীয় দলের হেড কোচ ও প্রধান নির্বাচক। আর ওয়াকার তাঁর অধীনে বোলিং কোচ। ক্রিকেট কখনো কখনো বড় নিষ্ঠুর—অন্তত ওয়াকার তা মনে করতেই পারেন। উল্টো ভাবতে পারেন মিসবাহ। পাকিস্তানের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হতে পারেন বটে কিন্তু জাতীয় দলের কোচিং করানোর অনভিজ্ঞতা বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল। তবে মিসবাহকে বেছে নিতে বড় পর্যায়ে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতাকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিসবাহ শুধু কোচ-ই হননি দায়িত্ব পেলেন প্রধান নির্বাচকেরও। পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খানের মতে, এই দ্বৈত ভূমিকায় মিসবাহ-ই ‘সবচেয়ে উপযুক্ত কারণ পাকিস্তান ক্রিকেটে চাহিদা সে জানে আর খেলাটি নিয়ে তার জ্ঞানও গভীর।’ তবে ভ্রুকুটি উঠেছে ইতিমধ্যেই। ভারতের ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে মনে করেন, মিসবাহর এ দ্বৈত ভূমিকার কারণে খেলোয়াড়েরা তার সঙ্গে সৎ থাকতে পারবে না।

বাংলাদেশ দলে একই সঙ্গে কোচ ও নির্বাচক হিসেবে কাজ করে বিতর্কিত হয়েছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তাঁর খবরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। খেলোয়াড়দের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, শ্রীলঙ্কা দলের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচক কমিটিতেও ছিলেন হাথুরুসিংহে। তখনো দল নির্বাচন করতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও লাসিথ মালিঙ্গার মতো অভিজ্ঞদের ফিটনেসের কারণে বাদ দিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। মিসবাহর কী হবে, তা সময়ই দেবে। আপাতত পাকিস্তান ক্রিকেট দলে ড্রেসিং রুমের পরিবেশটা মিসবাহ পাল্টে দিতে চান, ‘দলে ভীষণ প্রতিভাবান কিছু ক্রিকেটার আছে। আমি তাদের এমনভাবে প্রস্তুত করতে চাই যেন বুদ্ধিদীপ্ত ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে। আর সে জন্য ড্রেসিং রুমের পরিবেশ পাল্টাতে হবে তা বুঝতে পারছি, সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে ধারাবাহিক হতে এর বিকল্প নেই’— পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই বলেছেন মিসবাহ।

ছয় মাস আগেও খেলোয়াড় হিসেবেই ব্যস্ত ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী মিসবাহ। পাঁচ মাস আগেও পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)। কোচ চেয়ে পিসিবি যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, তাতে যোগ্যতা হিসেবে ন্যূনতম লেভেল ২-এর কথা বলা হয়েছে, সঙ্গে শীর্ষ স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিন বছর কাটানোর অভিজ্ঞতা। শর্তগুলোর মধ্যে এক ধরনের শিথিলতা ছিল বলেই এর আগে পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকলেও মিসবাহর ভাগ্যে সহায় হয়েছে। তবে মিসবাহ ইসিবির লেভেল ২-এর কোচিং সনদ নিয়েছেন। পিসিবিরও লেভেল ২-এর সনদও আছে তাঁর। আর কোচ পদে আবেদন করেছিলেন সময়সীমার শেষ দিনে। সংবাদমাধ্যম তখন জানিয়েছিল, আগের কোচ মিকি আর্থারের সমান পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন মিসবাহ। পিসিবি তাতে রাজি হচ্ছিল না।
মিসবাহর সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ আরেকজন হাথুরুসিংহে না হওয়াই।