ইরান নিয়ে উত্তেজনায় ইউরোপে মার্কিন অস্ত্রের চাহিদা

SHARE

রাশিয়া ও ইরানকে নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে ইউরোপে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য অস্ত্রের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অস্ত্র নির্মাতারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের প্যারিস এয়ারশোতে মার্কিন সরকার একদল উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা পাঠিয়েছিল, যার মধ্যে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস।
অথচ এ ধরনের আয়োজনে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা পাঠায় না যুক্তরাষ্ট্র। পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের ভেতরকার উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এবারের প্যারিস এয়ারশোতে প্রায় চারশ মার্কিন কোম্পানি অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করেছে।
অস্ত্র প্রস্তুতকারকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলেও দ্বিবার্ষিক এয়ারশোতে মার্কিন অস্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের দুই প্যারিস এয়ারশোতে এত ক্রয়াদেশ পাওয়া যায়নি।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া অঞ্চল রাশিয়া দখল করে নেয়। তার পর থেকে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। দেশগুলো তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করেছে, পুরনো যুদ্ধবিমান হালনাগাদ করেছে এবং নতুন যুদ্ধবিমান কিনেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্প নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের কারণে এ ধরনের পরিস্থিতি ঘটছে। কয়েকদিন আগে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইরান।
সে কারণে অস্ত্রের চাহিদা আরো বাড়বে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ নির্বাহী জানিয়েছেন, ইরান আমাদের সবচেয়ে ভালো ব্যবসা উন্নয়ন সহযোগী। যখনই তারা এ ধরনের কোনো কাজ করে, তখন এটি ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে হুমকি নিয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলে।
উদ্বেগের কারণে বেলজিয়াম অস্ত্র কিনতে চায়। পোল্যান্ডের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার চাহিদা পেয়েছে। অন্যদিকে স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়া নিজেদের সোভিয়েত আমলের অস্ত্রশস্ত্র পাল্টানোর কাজ শুরু করেছে।
পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সির (ডিএসসিএ) পরিচালক ও মার্কিন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল চার্লস হুপার জানিয়েছেন, গত বছর পাঁচ হাজার পাঁচশ ৭০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি হয়েছে। তার এক-চতুর্থাংশ বিক্রি হয়েছে ইউরোপে।