দক্ষিণ এশিয়ায় নারীরা স্বীয় কর্মক্ষেত্রে সফলতার দৃষ্টান্ত রাখছে : স্পিকার

SHARE

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ৫২’এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে অনেক বাঁধা অতিক্রম করে নারীরা এগিয়ে এসে অবদান রেখেছে। সে কারণেই এগিয়ে গেছে সভ্যতা ও সমাজ। শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় নারীরা স্বীয় কর্মক্ষেত্রে সফলতার দৃষ্টান্ত রাখছে- যা অনুসরণযোগ্য এবং অনুপ্রেরণার উৎস। দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের রয়েছে বিজয়গাঁথা গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।

আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ৪৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ’বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ ইতিহাসে নারী: দক্ষিণ এশিয়া’ প্রসঙ্গ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভারতের ইতিহাস গবেষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এর আগে স্পীকার অতিথিদের নিয়ে ইতিহাস পরিষদের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

স্পিকার বলেন, কৃষি,অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নারীর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। আবার অনেক নারী অবদান রাখা সত্তে¡ও কাজের স্বীকৃতি পাননি। এ সকল নারীর অবদান চিহ্নিত করতে হবে। এসময় তিনি নারীর গৌরবজ্জ্বল অবদান তুলে ধরতে ইতিহাস গবেষকদের গবেষণা বৃদ্ধির আহবান জানান।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাঙালী জাতির ইতিহাস সংগ্রাম ও শোষিত হওয়ার ইতিহাস। আর বঙ্গবন্ধু জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ সকল ক্ষেত্রেই বাঙালীর রয়েছে জয়গাঁথা-বীরত্বের ইতিহাস।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে জীবন্ত ইতিহাস হিসেবে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, প্রাতিষ্ঠানিক গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন, নারী জাগরণসহ জনকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে ইতিহাসের নব অধ্যায়ের সূচনা করেন তিনি। বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করছেন, যা ইতিহাসেরই অংশ।

বাঙালীর গৌরবগাঁথার ইতিহাস ধারণ করার আহবান জানিয়ে ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাঙালী জাতির অবস্থানকে বিশ্বসভায় উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নারীদের অগ্রযাত্রা আশাব্যঞ্জক। আর এই সময়ে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ ইতিহাসে নারী ঃ দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে বার্ষিক আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন আয়োজনের যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা সময়োপযোগী।