বাংলাদেশ থেকে বাঘ-সিংহ যাচ্ছে ভারতে

SHARE

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এখন বাঘ-সিংহ পাচারের নতুন করিডোর হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ভারতে একটি সিংহ শাবক ও তিনটি ভিন্ন প্রজাতির বাঁদর উদ্ধার করার পর গোয়েন্দারা বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন।

জানা গেছে একটি আন্তর্জাতিক চক্র বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাচারের ট্রানজিট রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করছে।

গত শনিবার কলকাতার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে পাচার হওয়ার সময়ই হাতেনাতে ভারতের বন দফতরের গোয়েন্দা বাহিনী ও কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে একটি সিংহ শাবক ও তিনটি ভিন্ন প্রজাতির বাঁদর। এ সময় তিন ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এই চক্রটি গত ৬ মাসের মধ্যে আরও দু’বার বন্য পশু একই রুটে পাচার করেছে। এই পশু শাবকগুলো কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা এখনো নিশ্চিত নন গোয়েন্দারা।

ধারণা করা হচ্ছে কোনো নিজস্ব চিড়িয়াখানার জন্য ওই পশুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আবার নেপাল হয়ে চীন অথবা মুম্বাই থেকে মধ্যপ্রাচ্যে এই সিংহ শাবক পাচার হচ্ছিল কি না, তা-ও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।

জানা গেছে, অনলাইনেই বিক্রি হচ্ছে এসব বন্যপ্রাণী। বাঘের ছানার দাম সাড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার ডলারের মধ্যে। সিংহ শাবকের দাম প্রায় একই রকম। তবে সাদা বাঘ বা সাদা সিংহের শাবক চাইলে আরও বেশি খরচ করতে হবে। হাজার তিনেক ডলার বা তার একটু বেশি খরচ করলে মিলতে পারে জাগুয়ার, চিতা বা লেপার্ডের শাবকও। অনলাইনে বিটকয়েনের মাধ্যমে ডলার মেটালেই হাতে চলে আসবে বাঘ, সিংহ ছানা।

থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের নানা দেশের খামারে গোপনে বাঘ, সিংহ, লেপার্ডের মতো ‘বড় বিড়াল’ ও ভিন্ন প্রজাতির বাঁদরদের মধ্যেও ব্রিডিং করানো হয়। আর প্রাকৃতিক নিয়ম বহির্ভূতভাবেই বাঘ ও সিংহের সংকর প্রজাতির টাইগন বা লাইগারও ‘তৈরি’ করে পাচার করা হয়।

ধরা পড়া চালানটি থাইল্যান্ডের খামার থেকে ব্যাগে করে মিয়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে জানা গেছে। যশোর থেকে ভারতের বনগাঁ সীমান্ত পেরিয়েই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাচার করা হচ্ছে এসব প্রাণী। সেখান থেকে যাচ্ছে আরো দূরের গন্তব্যে।