আবার বিয়ে করেছেন সংগীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা। ক’দিন আগে নিজের জন্মদিনে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন। কিন্তু সেটা আগেই করে ফেলেছিলেন। গতবছরের শেষভাগে তিনি বিয়ে করেছেন। সালমা নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের ছেলে সানাউল্লাহ নূরে সাগরকে ৩১ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। সাগর ঢাকা জজ কোর্টের এডভোকেট। বর্তমানে ইংল্যান্ডে আইন বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করছেন। কিছুদিন ধরে ‘সালমা বিয়ে করছেন’ বা ‘বিয়ে করেই ফেলেছেন’ এমন কথা শোবিজপাড়ায় সোনা যাচ্ছিল। এ বিষয়ে সাল্মার কাছে জানতেও চাওয়া হয়। ন্তিনি সরাসরি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সালুমা বলেন, প্রেমের সম্পর্ক নয়, দুই পরিবারের দেখাদেখির ভিত্তিতে বিয়ে হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর সালমার বাসায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার স্বামী সানাউল্লাহ নূরে সাগর আবার ফিরে গেছেন লন্ডনে। আমার স্বামী দেশে ফিরলে বিয়ের সংবর্ধনার আয়োজন করবো, তখন সবার দোয়া নেব।
পরষ্পর একসাথে থাকতে হলে দুজনের মধ্যে বিশ্বাস, ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ থাকা দরকার। এই সবকিছুর সমন্বয় হলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। এসবগুলো সালমা তার স্বামী সাগরের মধ্যে দেখেছেন। বিয়ের আগে আমি স্বামীর সাথে কথা বলেছি। শুনেছি, আমার গান পছন্দ করে কিনা! এতে তার কোনো আপত্তি নেই। তার পরিবারের সাথেও আলাপ করেছি। তাদের মধ্যেও আমার গান নিয়ে আগ্রহ দেখেছি। সে নিজেও আবার বাবার সাথে কথা বলেছে।
ফোক গায়িকা সালমা এনটিভির রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ এর মাধ্যমে রাতারাতি সংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। দিনাজপুরের সংগীত পরিবারের ছেলে শিবলী সাদিক পছন্দ করেন সালমাকে। ২০১১ সালে সালমা ও শিবলী সাদিকের পারিবারিকাভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
শিবলী সাদিক সংগীতচর্চা করলে পিতার উত্তরসূরি হিসেবে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। দিনাজপুর ৬ আসন থেকে পিতার মৃত্যুর পর প্রার্থী হন এবং সর্বশেষ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। সালমা ও শিবলির সংসারজুড়ে আসে একমাত্র কন্যা স্নেহা। এরপর দ্বন্দ্বে উভয়ই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় তালাক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ সময় শিবলি সালমাকে মোহরানার ২০ লাখ ১ টাকা বুঝিয়ে দেন।