সিলেটেও টাইটানস হতে পারেনি খুলনা

SHARE

গ্রিক পুরান অনুযায়ী দেবতাদের আগে পৃথিবী শাসন করতেন টাইটানসরা। মহাপরাক্রমশালী টাইটানদের হারাতে জিউস ও তাঁর দলবলেরও ঘাম (স্বর্গীয়) ঝরেছিল। খুলনা দলের টাইটানরা এখনো পর্যন্ত নামের মর্যাদা রাখতে পারেননি। পৃথিবী নয় বিপিএলই শাসন করা হচ্ছে না তাদের। ঢাকার প্রথম পর্বে চার ম্যাচেই হেরেছে তারা। সিলেট পর্বের উদ্বোধন হয়েছে খুলনা ও রাজশাহী কিংসের ম্যাচ দিয়ে। সিলেট পর্বের শুরুটাও আশানুরূপ হয়নি খুলনার। রাজশাহীর রাজাদের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৮ রান তুলেছে।

ঢাকায় নিয়মিত ওপেন করেছেন পল স্টারলিং। টানা ব্যর্থতার পর এই আইরিশকে বাদ দিয়েই নেমেছে খুলনা। জহুরুল ইসলাম ও জুনায়েদ সিদ্দিকের নতুন উদ্বোধনী জুটি টিকল ১১ বল। ১৫ রানের সে জুটিতে ১১ রানই জহুরুলের (৬)। তাঁর সঙ্গী জুনায়েদ ফিরেছেন পঞ্চম ওভারে। সঙ্গীর চেয়ে ৮ বল বেশি খেলে ১ রান বেশি করেছেন জুনায়েদ। ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো খুলনার ইনিংস বাকি সময়টাতেও এগিয়েছে এভাবেই, খুঁড়িয়ে।

ডেভিড মালান (১৫), মাহমুদউল্লাহ (৯), নাজমুল হোসেন (১১) ও কার্লোস ব্রাফেট (৮)—ব্যর্থতার মিছিলে দেশি-বিদেশিদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এক নাজমুল বাকি সবার স্ট্রাইকরেটও ছিল এক শর নিচে। ৮২ রানে ৬ উইকেট হারানো খুলনাকে ভদ্রস্থ একটা স্কোর এনে দিয়েছেন সাতে নামা আরিফুল হক। ডেভিড ভিসেকে (১৩) নিয়ে প্রথমে তিন অঙ্ক পার করেছেন আরিফুল। খুলনার তখন এমনই দশা, ৩২ বলে ৩৪ রানের জুটিকেই মনে হচ্ছিল অনেক বড়। ১১৬ রানে ভিসে বিদায় নেওয়ার পর আরিফুলও অবশ্য কাজ শেষ করে আসতে পারেননি। ২০তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন লং অনে। ২৭ বলে ১ চারে ২৬ রান করেই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার আরিফুল!

২০ ওভারের ম্যাচে পুরো দল মিলে মেরেছে ৭টি চার ও ২ ছক্কা। সিলেট পর্বের শুরুটা এর চেয়ে ভালোভাবেও হতে পারত।