চারিত্রিকভাবেই শিখর ধাওয়ান একটু আমুদে। কিন্তু হারের পরও যদি তাঁকে হাসিখুশি দেখেন, একটু ভিরমি তো খেতেই হয়। কাল রাতে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পরও আমুদে মেজাজেই দেখা গেল ধাওয়ানকে। সংবাদ সম্মেলনে এলেন ফুরফুরে মেজাজে।
মিডিয়া ম্যানেজারের কাজটা সামলাতে তাঁর সঙ্গে যিনি এসেছেন, কানে কানে তাঁকে কী একটা বলে হাসিতে ফেটে পড়লেন ধাওয়ান। যেন সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢুকেই খুব মজার কিছু দেখেছেন! দল হেরেছে, তাতে হতাশা থাকতে পারে। কিন্তু ধাওয়ানের আর দোষ কী! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেছেন কাল। তবুও প্রেমাদাসায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা নিজেদের করে নিতে পারেনি ভারত। কেন পারেনি?
ধাওয়ান বলছেন, পাওয়ার প্লে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। পাওয়ার প্লেতে ভারত তুলতে পেরেছে ২ উইকেটে ৪০, সেখানে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ৭৫। ভারতীয় ওপেনার বললেন, ‘হ্যাঁ, পাওয়ার প্লে ম্যাচটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। কুশল যেভাবে ব্যাটিং করেছে, ওভারগুলো যেভাবে কাজে লাগিয়েছে, ৬ ওভার শেষে ওদের ৭২ বা এমন রান ছিল।’
যাঁর ব্যাটে চড়ে শ্রীলঙ্কা পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়েছে দুর্দান্তভাবে সেই কুশল পেরেরাও বললেন, তাঁদের পরিকল্পনাই ছিল শুরুতেই ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া, ‘প্রথম ছয় ওভারে আমাদের আক্রমণ করতেই হতো। যেহেতু লক্ষ্য ১৭৫, আমাদের ছন্দ পাওয়ার দরকার ছিল। যখন আপনি এমন শুরু করতে পারবেন, ইনিংসটা স্বচ্ছন্দে এগিয়ে নেওয়াটা তখন সহজ হয়। তবে প্রতি ম্যাচে এমন শুরু পারবেন না। প্রথম ছয় ওভার বিরাট প্রভাব রেখেছে পুরো ম্যাচে।’
বাংলাদেশ দল হোটেলে বসে কাল ভারত-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দেখেছে কি না কে জানে। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে কীভাবে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা যায় ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির প্রথম ম্যাচে সেটা করিয়ে দেখিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে প্রথম ছয় ওভারের ব্যবহার বাংলাদেশ চাইলে শিখতে পারে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে—পাওয়ার প্লে নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা যে অনেক দিন হলো তাদের পিছু নিয়েছে!