আত্মসাৎকৃত বস্তাভর্তি টাকার কিছু মিলল ব্যাগে

SHARE


কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভূমি অধিগ্রহণের নামে আত্মসাৎকৃত টাকার মধ্যে ৯২ লাখ টাকা ওই জেলার হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটরের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল এই টাকা উদ্ধার করে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানান।

জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের প্রায় ১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান সরকারের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলাম । এর মধ্যে পরপর দুই দিনে তিনি সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখা থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তুলে বস্তায় ভরে নিয়ে যান।

প্রণব কুমার জানান, গতকাল রাত ১২টার দিকে দুদক দলের সদস্যরা হারুয়া এলাকার কাতিয়ার চর খুরশীদের মাঠ সংলগ্ন কিশোরগঞ্জ জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর সৈয়দুজ্জামানের বাসায় অভিযান চালান। একপর্যায়ে লুকিয়ে রাখা বাজারের একটি ব্যাগ থেকে নগদ ৯২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও সৈয়দুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। টাকা জব্দ করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরে তা সরকারি ট্রেজারিতে জমা করা হবে।
সৈয়দুজ্জামান ও সেতাফুল ইসলাম দুজনই কারাগারে আছেন।

কিশোরগঞ্জের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলাম জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ জানুয়ারি দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডল অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বাদী হয়ে সেতাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর সেতাফুল ইসলামকে পিরোজপুর সার্কিট হাউস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জবানবন্দিতে সেতাফুল ইসলাম আত্মসাতের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ (রাজস্ব) কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে তিনি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং টাকার বেশির ভাগ ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে গেছে ।