ডেস্ক রিপোর্ট:
শেষ পর্যন্ত কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে মিয়ানমার। প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি অব রাখাইন এডভাইজরি নামে ১৫ সদস্যের নতুন এই কমিটি, রোহিঙ্গা এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক সম্পর্কের বিষয়ে কাজ করবে। পাশাপশি তারা জাতিগত লোকজনের বসবাস যেসব গ্রামে সেখানে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কাজ করবে।
এতে আরও বলা হয়, এই কমিশন রোহিঙ্গাদেরকে দেশের নাগরিকত্ব আইনের অধীনে নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি দ্রুত গতিতে যাচাই বাছাই করবে। কিন্তু এতে স্পষ্ট করে বলা হয় নি, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে, যেমনটা সুপারিশ করেছে কফি আনান কমিশন। ১৯৮২ সালের ওই আইন সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।
সে বিষয়েও কোনো কথা নেই বিবৃতিতে, উল্টো যেটা আছে তা হলো ওই আইনের অধীনেই নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এ আইনের অধীনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।