২৪আওয়ার ডেস্ক: ধরুন ঢাকার বিখ্যাত জ্যামে আপনি আটকা পড়েছেন। এদিকে অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে অথবা বৃষ্টিতে রাস্তায় এমন পানি জমে গেছে যে কোনটা রাস্তা আর কোনটা ফুটপাত কিছুই বুঝতে পারছেন না। এমন সময় একটা বোতাম টিপলেন ব্যাস গাড়ি উড়তে শুরু করল। স্বপ্ন নয় এটাই বাস্তব। প্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ থেকে জানা যায়, এমন স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে স্লোভাকিয়ার এরোমোবিল নামের একটি সংস্থা।
উড়ন্ত গাড়ি আসছে এ রকম খবর অনেকদিন আগে থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় শোনা যাচ্ছিল। গুগল, উবারের মতো বড় বড় নামধারী সংস্থাগুলো শুধু গাড়ির নকশাই করে গেছে, বাস্তব রূপ দিতে পারেনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার মোনাকোয় এক গাড়ি প্রদর্শনীতে এরোমোবিল যা করে দেখাল তাতে চোখ কপালে উঠে গেছে অনেকেরই। বোতাম চাপলেই দুটি দরজা দুপাশে ডানার মতো খুলে যাবে, এর পরই সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রের মতো তা উড়তে শুরু করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের মধ্যেই রাস্তায় দেখা যাবে উড়ন্ত গাড়িগুলোকে।
তবে সবার কপালে এই গাড়ি চালানোর সৌভাগ্য হবে না। এরোমোবিলের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা স্টিফান ভাদোক জানান, ‘এই যান চালাতে গেলে একই সঙ্গে ড্রাইভিং এবং পাইলট লাইসেন্সের প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত ইউরোপে এই যান চালানোর অনুমতি পাওয়া গেছে। তবে আমেরিকাতেও তা চালু করার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। আর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে চীন।’
সংস্থাটি জানায় তারা রাস্তায় চলাচলের জন্য প্রথমে ৫০০টি গাড়ি তৈরি করবে। গাড়ির মডেল অনুযায়ী যার দাম পড়বে ১৩ লাখ থেকে ১৬ লাখ ডলারের মধ্যে। রাস্তায় যেমন দুরন্ত গতিতে গাড়ি ছুটবে, তেমনি উড়বে। গাড়িটিকে উড়ানোর জন্য একটি সুইচ রয়েছে। তিন মিনিটের ব্যবধানে যা আপনার গাড়িকে উড়ন্ত গাড়িতে পরিণত করবে। গাড়ির দুইটি দরজা পরিণত হবে ডানায়। রাস্তায় গাড়িটির গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৭৭ কিলোমিটার আর আকাশে গাড়িটির গতিবেগ হবে ৩৬০ কিলোমিটার।
উবার ও গুগলও তাদের উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে। তবে গুগল এবং উবারের গাড়িগুলো হবে হেলিকপ্টারের মতো। অর্থাৎ এরা হেলিপ্যাডের মতো নির্দিষ্ট জায়গা থেকে উড়বে আবার নির্দিষ্ট জায়গাতে গিয়েই অবতরণ করবে। এরোমোবিলের গাড়িগুলো সেরকম নয়। যেকোনো জায়গা থেকে উড়ে, আবার যেকোনো জায়গায় নামতে পারবে নতুন এই যান।