ডোরাগলা আবাবিল

SHARE

২৪আওয়ার ডেস্ক:  শীতে পরিযায়ী হয়ে আসে। মানব বসতির কাছিকাছি খোলা মাঠ-প্রান্তরে উড়ে বেড়ায়। উড়ন্ত অবস্থায় শিকার ধরে। ছোট-বড় দলে বিচরণ করে। দেখা যায় জোড়ায় কিংবা একাকীও। দেখতে হিংস মনে হতে পারে। আসলে নিরীহ প্রজাতির পাখি এরা। শুধু আক্রান্ত হলে আক্রমণ করে। স্বভাবে চঞ্চল। সারাদিন উড়ে বেড়াতে পছন্দ করে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, উত্তর-পূর্ব হিমালয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান পর্যন্ত। বিশ্বব্যাপী হুমকি না হলেও ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত।
এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে যাচ্ছি। প্রিয় পাঠক, আমি বরাবরই প্রকৃতিপ্রেমী মানুষকে ভালোবসি। খুব ভালোবাসি। তেমনি একজন মানুষকে ভালোবাসি যার বদৌলতে আপনারা ‘প্রকৃতি ও জীবন’ নামক অনুষ্ঠানটি প্রতি সপ্তাহে চ্যানেল আইয়ের পর্দায় দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। মুকিত মজুমদার বাবু ভাইয়ের কথা বলছি। যিনি একাধারে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, পরিচালক ইমপ্রেস গ্রুপ, চ্যানেল আই। প্রকৃতিবার্তা’র সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েও প্রকৃতির খোঁজে চষে বেড়ান বন-বাদাড়ে কিংবা হাওর-বাঁওড়, চরাঞ্চলে এবং তা জানান দেন প্রকৃতি প্রেমীদের। তার সঙ্গে আছেন বন্ধু তুষার কান্তি সরকার (প্রকৃতিবার্তার সম্পাদক)। যার সম্পাদনায় প্রকৃতিবার্তার জৌলুস বেড়েছে বেশ খানিকটা। এই মানুষদের প্রতি আমার সব সময় শ্রদ্ধা। যাই হোক, আবার মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাচ্ছি।
পাখির বাংলা নাম: ‘ডোরাগলা আবাবিল’, ইংরেজি নাম: ‘স্টিক থ্রোটেড সোয়ালো’ (Streak-throated Swallow), বৈজ্ঞানিক নাম: Hirundo fluvicola। এরা ‘দাগিগলা আবাবিল’ নামেও পরিচিত।
প্রজাতিটি দৈর্ঘ্যে ১১-১২ সেন্টিমিটার। কপাল ও মাথা গাঢ় বাদামি। ঘাড়ে সাসা-কালো ডোরা দাগ। পিঠ গাঢ় নীল, মাঝে সাদা ডোরা। ডানা ও লেজ কালচে বাদামি। লেজের চেয়ে ডানা খানিকটা লম্বা। দেহতল ক্রিম সাদা। গলা ও বুকে কালো-সাদার মিশ্রণের সঙ্গে ডোরা দাগ। ঠোঁট খাটো কালো। পা কালো।
প্রধান খাবার: কীটপতঙ্গ। মাছির প্রতি আসক্তি লক্ষ করা যায়।
প্রজনন মৌসুম জুলাই থেকে অক্টোবর। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা বাঁধে পুরনো ঘর-দালানের ফাঁকফোকরে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৬-১৮ দিন।