মেয়ে নিয়ে ট্রেনের নিচে বাবার ঝাপ

SHARE

গাজীপুর সংবাদদাতা :  দ্রুতগামী আন্তনগর তিস্তা ট্রেনের নিচে পালিত মেয়ে আয়েশাকে (১০) ছুঁড়ে ফেলে হত্যার পর ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে বাবা হযরত মাহমুদ (৪৫) আত্মহত্যা করেছেন। লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে শনিবার সকাল নয়টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেল স্টেশনের দক্ষিণ পাশে।

নিহত হযরত ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার কালাই গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন সরকারের পুত্র। সে শ্রীপুরের কর্নপুর সিটপাড়া গ্রামের হালিমার স্বামী। জানা যায়, সকাল থেকে হযরত তার মেয়েকে নিয়ে শ্রীপুর রেলগেইট এলাকায় ঘুরাফেরা করছিল।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯ টাকার দিকে দেওয়ান গঞ্জগামী  তিস্তা ট্রেনটির লাইন ক্লিয়ার দেওয়ার পর হযরত তার মেয়েকে নিয়ে এন.এন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাশে রেল লাইনে পায়চারী করতে থাকে। দ্রুতগামী ট্রেনটি কাছাকাছি চলে এলে হযরত প্রথমে মেয়েকে ট্রেনের নিচে ছুঁড়ে ফেলে।সঙ্গে সঙ্গে সে নিজেও ওই  ট্রেনের নিচে ঝাপ দেয়। ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়।

নিহতের স্ত্রী হালিমা খাতুন জানান, ৩০ বছর পূর্বে হযরতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে হযরত কর্নপুর ছিটপাড়া গ্রামে শশুর বাড়ীতে ঘড় জামাই থাকতো। ভিক্ষা বৃত্তি, অন্যের বাড়ীতে ঝিঁয়ের কাজ করে চলে হালিমার সংসার। নিজেদের সন্তান না থাকায় আয়েশাকে পালিত মেয়ে হিসেবে লালন পালন করতেন তারা।

হালিমার অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ছাগলে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার দিন ভর হযরতকে মারপিট করতে খোঁজা খুঁজি করে। আতঙ্কে সে গা ডাকা দিয়ে থাকে। রাতে বাড়ী ফিরে স্ত্রী হালিমাকে জানায় এলাকার লোকজন তাকে পেলে মেরে ফেলবে। সকাল ৮টার দিকে হযরত তার মেয়েকে নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে আসে। বেলা দশটার দিকে খবর পেয়ে হালিমা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার স্বামী ও পালিত মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পান।

কর্তব্যরত শ্রীপুরের ষ্টেশন মাস্টার  জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’টি মৃতদেহ দেখতে পান। রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।