সাত দিনেই তুলকালাম বাধিয়েছেন ট্রাম্প

SHARE

প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক সপ্তাহ কাটালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কিন্তু এরই মধ্যে রাজনীতির ও কূটনীতির পরিচিত নিয়মকানুন অগ্রাহ্য করে তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়ে বসেছেন। ট্রাম্পের সমর্থকেরা বলছেন, তিনি একজন বিপ্লবী। অন্যদিকে অন্যরা এই ভেবে ভীত, তাঁর একনায়কসুলভ ব্যবহারে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি বিপদগ্রস্ত হবে তা-ই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাই ভেঙে পড়তে পারে।

ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর নির্বাহী আদেশ জারি করা শুরু করেছেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার, হলোকস্ট স্মরণ দিবসে, ট্রাম্প অভিবাসন প্রশ্নে দুটি নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন। প্রথমটিতে সিরিয়া থেকে উদ্বাস্তু গ্রহণের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অন্য সব দেশের উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা চালু থাকবে পরবর্তী ১২০ দিনের জন্য। দ্বিতীয় নির্দেশে সাতটি আরব দেশ থেকে মুসলিমদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দেশগুলো হলো ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া ও সোমালিয়া। যেসব দেশের সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে; যেমন সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান; তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই কড়াকড়ি আরোপ হবে না।

এর আগেই এক নির্দেশে ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের লক্ষ্যে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যেসব শহর অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করবে না, তাদের বাধ্য করতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ করা হবে। নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ অনেক শহরের মেয়ররা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁরা ফেডারেল সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করবেন না। সত্যি সত্যি যদি অবৈধ অভিবাসী ঘেরাও করার লক্ষ্যে ট্রাম্প ফেডারেল বাহিনী পাঠান, তাহলে ফেডারেল সরকারের সঙ্গে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে বড় ধরনের বিরোধের সূত্রপাত হতে পারে।

গত সাত দিন ট্রাম্পের প্রধান কাজ ছিল একের পর এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রশাসনিক অর্জনকে বাতিল করা। এর কোনোটাই আইন বিভাগের পরামর্শে তৈরি হয়নি। ফলে প্রতিটিতে বিস্তর ফাঁকফোকর রয়ে গেছে। এই এক সপ্তাহে তিনি যে ১৪টি নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন, তার প্রথমটিই ছিল ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলের লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু এই স্বাস্থ্যবিমা-ব্যবস্থা বাতিল করে এর জায়গায় কী ব্যবস্থা বহাল হবে, তা নিয়ে কোনো কথা নেই। ওবামা কেয়ার বাতিল হলে প্রায় ২ কোটি আমেরিকান তাদের স্বাস্থ্যবিমা হারাবে, সে কথা মাথায় রেখে কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতৃত্ব ওবামা কেয়ার বাতিল হলেও সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন বিলম্বিত করার পক্ষে।

নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্পের প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল মেক্সিকোর সঙ্গে ‘একটি চমৎকার দেয়াল’ নির্মাণ। তিনি আরেক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে অবিলম্বে মেক্সিকোর সাথে ‘দেয়াল’ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু সে জন্য অর্থ কে জোগাবে, তা খোলাসা করেননি। দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৯০০ মাইল, তা নির্মাণে খরচ ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার পেরিয়ে যাবে। ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই পুরো অর্থ আসবে মেক্সিকো থেকে। কিন্তু মেক্সিকো জানিয়ে দিয়েছে, এর জন্য এক পয়সাও তারা দেবে না। সে কথা শুনে ট্রাম্প নতুন প্রস্তাব করেছেন, মেক্সিকো থেকে রপ্তানি করা প্রতিটি পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য করা হবে। এ কথার অর্থ, দেশের সাধারণ মানুষকেই সেই টাকা জোগাতে বাধ্য করা হবে। রক্ষণশীল রিপাবলিকান নেতৃত্ব এতে আপত্তি তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ম্যাক্সিকান অভিবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর কর আরোপের মাধ্যমে তাঁর দেয়ালের জন্য অর্থ সংগ্রহের ইঙ্গিতও দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। মেক্সিকোর ওপর কর আরোপের এসব প্রস্তাবকে রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসি গ্রাহাম ঠাট্টা করে বলেছেন, ‘মুচো ব্যাড’ (খুব খারাপ)।

এই দেয়াল নিয়ে বিতর্কে মেক্সিকোর সঙ্গে কার্যত এক বাণিজ্যযুদ্ধ বাধিয়ে বসেছেন ট্রাম্প। ৩১ জানুয়ারি বাণিজ্য ও অভিবাসন প্রশ্নে ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার জন্য মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনিয়ার ওয়াশিংটনে আসার কথা ছিল। কিন্তু মেক্সিকোর অর্থে দেয়াল নির্মাণের দাবি তোলায় পেনিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটনেও আসছেন না। গত শুক্রবার এ দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে, তাতে বরফ কতটা গলেছে, তা বোঝা যায়নি।

ক্ষমতা ও বিত্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সম্পর্ক অনেকটা হাতি ও বেড়ালের মতো। অথচ ট্রাম্প সেই বেড়ালকেই যুক্তরাষ্ট্রের সব সমস্যার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। ডেমোক্রেটিক সিনেটর বেন কারডিন বলেছেন, সাত দিনও হয়নি, আর এরই মধ্যে ট্রাম্প আমাদের সবচেয়ে নির্ভরশীল মিত্রের সঙ্গে বিরোধ পাকিয়ে বসেছেন।ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় ভাষ্যকার জেনিফার রুবেন লিখেছেন, ‘ট্রাম্প তাঁর অভ্যাস না বদলালে খুব বেশি মিত্র আর আমাদের পাশে থাকবে না।’

এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প কানাডা থেকে তেল আমদানির জন্য দুটি পাইপলাইন, যা প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রতিবাদের মুখে ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এই যুক্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, তা পুনরায় শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই আদেশ ঠেকাতে পরিবেশবাদীরা এরই মধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদের আয়োজন শুরু করে দিয়েছে।

আরেক সিদ্ধান্তে কলমের এক খোঁচায় ট্রাম্প আন্তপ্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্য চুক্তি (টিপিপি) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে বহুজাতিক প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে চান বলে জানিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব আইন-কানুন নতুন করে নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। কারা এই চুক্তির পক্ষে এত দিন কাজ করেছে, তাদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ভিন্ন এক সিদ্ধান্তে পরিবার পরিকল্পনার জন্য তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থ সাহায্য করে, তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। নেদারল্যান্ডস অবশ্য জানিয়েছে, এর ফলে যে অর্থের ঘাটতি হবে, তা তারা পুষিয়ে দেবে।

ট্রাম্প আরও কিছু কাজ করেছেন, যাতে কূটনৈতিক মহলে হৃদ্‌কম্প শুরু হয়েছে। তিনি সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে তথ্য আদায়ের জন্য বেআইনি ‘টর্চার’ব্যবস্থা ফের চালু হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। দেশের বাইরে গোপন জেলখানা চালুর কথাও তিনি বলেছেন। যুদ্ধবন্দীদের ওপর ‘টর্চার’ বা দৈহিক নির্যাতন বেআইনি, তা সত্ত্বেও ট্রাম্প বলেছেন যে তাঁর বিশ্বাস, ‘টর্চারে ফল পাওয়া যায়।’ সমালোচনার মুখে পড়ে ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, তিনি নন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ম্যাটিস, যিনি ‘টর্চারের’ বিপক্ষে, তাঁর সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। তাঁর প্রস্তাবিত নীতির বিরোধিতা করবে, এই সন্দেহে ট্রাম্প মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চারজন পেশাদার কূটনীতিককে অবসরে পাঠিয়েছেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে অস্থিরতা বেড়েছে, অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে।

ট্রাম্প তাঁর অভিষেক ভাষণেই জানিয়েছিলেন, তাঁর নীতি হবে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। ফরেন পলিসি পত্রিকায় নিকোল বিবিন্স সেডাকা সেই কথার উল্লেখ করে লিখেছেন, গত ৬০ বছরে এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর অভিষেক ভাষণে ‘মুক্ত বিশ্বে’ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব উল্লেখ করতে ব্যর্থ হলেন। ট্রাম্প ইঙ্গিত করেছেন, ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে যে নিরাপত্তা চুক্তি রয়েছে, তা মেনে চলতে তিনি বাধ্য নন। নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর যে আন্তআটলান্টিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, তা ভেঙে পড়তে পারে। ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, ইউরোপীয় মিত্ররা তাতেও উদ্বিগ্ন। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তিনি তা প্রত্যাহারের পক্ষে। শুক্রবার ওয়াশিংটনে প্রথম বিদেশি অতিথি হিসেবে ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিপক্ষে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে দুই বন্ধুর মতপার্থক্য স্পষ্ট।

ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি বাতিলের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর এ নিয়ে কথা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার চেষ্টা হলে তা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাপই হবে না, মধ্যপ্রাচ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাবে, যার পরিণতিতে সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আইএসকে সমূলে উৎপাটন করবেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাঁর প্রস্তাবিত নীতি উল্টে আইএস ও আল-কায়েদার পক্ষে সমর্থন বাড়বে।

তবে এসব কিছু ছাপিয়ে গত সাত দিনে যে বিষয়টি বিশ্বের সর্বাধিক ক্ষমতাবান এই প্রেসিডেন্টকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে, তা হলো শুক্রবার তাঁর অভিষেকে উপস্থিত দর্শকের সংখ্যা। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর অভিষেকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দর্শকসমাগম হয়েছে। কথাটা মিথ্যা, সে জন্য নিউইয়র্ক টাইমস তাঁকে মিথ্যাচারে অভিযুক্ত করেছে। অভিষেকের পর সরকারি উদ্যান বিভাগ টুইটারে ওবামার ২০০৯ সালের অভিষেক ও ট্রাম্পের অভিষেকে উপস্থিত দর্শকের ছবি পাশাপাশি দেখিয়েছিল, তাতে ট্রাম্প এতটাই ক্ষিপ্ত হন যে সেই বিভাগের পরিচালককে ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোন করে তিনি তাঁর অভিষেকের নতুন ছবি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গোটা কয়েক নতুন ছবি পাওয়া গেলেও ওবামার ১৮ লাখ লোকের চেয়ে ট্রাম্পের দর্শকসংখ্যা বেশি, এ কথা কোনোভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।

ট্রাম্পের আরেক মিথ্যাচার ভোটদাতার সংখ্যা নিয়ে। হিলারি ক্লিনটন তাঁর চেয়ে ৩০ লাখ ভোট বেশি পেলেও ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর বিপক্ষে ৩০-৩৫ লাখ জাল ভোট পড়েছে। সেই ভোট হিসাব থেকে বাদ দিলে তিনিই মোট ভোটের হিসাবে জিতেছেন। কিন্তু এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। পিউ রিসার্চের ২০১২ সালের একটি গবেষণাকে তিনি প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করেন, অথচ সেই গবেষণায় ভোটার তালিকায় অসংগতির কথা বলা হয়, বেআইনি ভোটদানের কথা নয়। ৩০-৩৫ লাখ লোক যদি বেআইনি ভোট দিয়ে থাকেন, তাহলে শুধু ট্রাম্পের নিজের নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয় না, কংগ্রেসের সদস্যদের নির্বাচনও বিতর্কিত হয়ে পড়ে। চতুর্দিক থেকে সমালোচনার মুখে পড়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে এ বিষয়ে তিনি তদন্ত চান, যদিও কাগজে-কলমে এই মর্মে কোনো নির্দেশ জারি হয়নি।

নির্বাচনে জেতার পরও কত দর্শক তাঁর অভিষেকে এল বা কত লোক ভোট দিয়েছে, এই অর্থহীন বিতর্কে এখন তিনি কেন জড়াচ্ছেন, এর ব্যাখ্যায় একাধিক পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন, টেলিভিশন হোস্ট হিসেবে ট্রাম্পের কাছে ‘রেটিং’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সব ব্যাপারেই ‘এক নম্বরে’ থাকতে চান। রক্ষণশীল ভাষ্যকার ডেভিড ব্রুকস বলেছেন, আসলে ট্রাম্প একজন আত্মম্ভরি মানুষ, তাঁর ব্যবহার বখে যাওয়া পাঁচ বছরের বালকের মতো।