দেশজুড়ে চলা জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আমরা কোনো ইল মোটিভ (খারাপ উদ্দেশ্য) ও পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) নিপীড়নের উদ্দেশ্যে কাউকে আটক করিনি। আগে প্রতিদিন কমবেশি দুই হাজারের মতো আটক করা হতো। এখনো তাই হচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতি থানায় ২০ জন করে আটক করা হলেও আটকের সংখ্যা ১২ হাজার ৬০০ জন হয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের অনেকেই পরোয়ানাভুক্ত আসামি। এ ছাড়া জঙ্গি তো আছেই।
আজ বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠকের পর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন।
সাঁড়াশি অভিযানের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছিলেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি, এটা বিশেষ কিছু নয়। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটা আমরা করছি না। সন্দেহভাজন জঙ্গি ও পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের ধরতেই এ অভিযান চলছে।’
বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস একটি গ্লোবাল থ্রেট (বৈশ্বিক হুমকি)। এই হুমকি মোকাবিলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দূতাবাস এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর বিষয়টিও তাঁকে জানানো হয়েছে। এ কারণে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’
বিএনপি দাবি করছে যে অভিযানে আটক-গ্রেপ্তারের অর্ধেকই বিএনপির নেতা-কর্মী—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। যাদের আটক করা হচ্ছে, তারা ক্রিমিনাল (অপরাধী)। এখন ক্রিমিনাল বিএনপির সদস্য কি না, তা আমার জানা নেই। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে ধরা হয়নি। নির্দিষ্ট অভিযোগ ও সন্দেহের ভিত্তিতেই ধরা হয়েছে। যদি কেউ নিরপরাধ হন, তবে আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ছাড়া নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন।’