টিকিট নিয়ে নয়ছয়

SHARE

ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে খেলা দেখতে এসেও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রবেশদুয়ারে হেনস্তা হতে হয়েছে দর্শকদের। মূল গেট দিয়ে ঢোকার সময় অনেক দর্শকের কাছ থেকেই টিকিট রেখে দিয়েছেন গেটের দায়িত্বে থাকা লোকজন। তাঁদের কাছে টিকিট ফেরত চেয়ে উল্টো দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছে। হাতে টিকিট নেই বলে ওই সব দর্শক ঢুকতে পারছিল না গ্যালারিতেও।
ভুক্তভোগীদের একজন দশম শ্রেণির ছাত্র স্বপ্ন চন্দ। তার অভিযোগ, শহীদ মুশতাক স্ট্যান্ডের টিকিট নিয়ে স্টেডিয়ামের ৪ নম্বর গেট দিয়ে ঢোকার সময় তার হাত থেকে টিকিট রেখে দেন গেটের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি। পরে টিকিট ফেরত চাইলে তিনি টিকিট নেননি বলে দাবি করেন। এদিকে হাতে টিকিট না থাকায় স্বপ্ন ঢুকতে পারছিল না গ্যালারিতেও। পরে বিসিবির মিডিয়া কমিটির কর্মীদের চেষ্টায় ৬ নম্বর এন্ট্রি গেট দিয়ে টিকিট ছাড়াই গ্যালারিতে ঢোকে স্বপ্ন।
নিয়ম অনুযায়ী মূল গেট দিয়ে ঢোকার সময় টিকিট ছিঁড়ে সেটি আবার দর্শকদের হাতে দিয়ে দেওয়ার কথা। গ্যালারির গেটের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা সেই ছেঁড়া টিকিট দেখেই দর্শকদের গ্যালারিতে ঢুকতে দেন। কিন্তু মূল গেটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অনেক দর্শককে ছেঁড়া টিকিট না দিয়ে আস্ত টিকিটটি নিজেরা রেখে দিচ্ছিলেন। এশিয়া কাপের আগের ম্যাচগুলোতেও নাকি এ রকম ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ আছে, এসব টিকিট পরে কালোবাজারিদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।
স্টেডিয়ামের গেটে কেন দর্শকদের কাছ থেকে টিকিট রেখে দেওয়া হচ্ছে—জানতে চাইলে বিসিবির নিরাপত্তাপ্রধান হোসেন ইমাম কোনো দায়িত্ব নিতে চাইলেন না। তিনি দোষ চাপালেন টিকিট অ্যান্ড সিটিং কমিটির ওপর, ‘গেটে টিকিট ছেঁড়ার দায়িত্ব টিকিট অ্যান্ড সিটিং কমিটির লোকজনের। হয়তো তারাই টিকিট রেখে দিচ্ছে।’ এ ব্যাপারে জানতে টিকিট অ্যান্ড সিটিং কমিটির প্রধান ইসমাইল হায়দার মল্লিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।
বিষয়টি নিয়ে বিসিবির বেতনভুক্ত নিরাপত্তা সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উল্টো তাঁর দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছে। গেটে টিকিট রেখে দেওয়ার বিষয়ে জানতে তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে এই প্রতিবেদক তাঁকে ফোন করে না পাওয়ার বিষয়টি বলেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ আলী। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে তিনি বলেন, ‘আপনার ফোন ধরতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। এটা আমার দায়িত্ব নয়। এসব করে টিকিট কমিটি।’ বিসিবির চাকরি করলেও কোনো সমস্যার সময়ই তাঁকে পাওয়া যায় না অভিযোগ করলে বিসিবির এক কর্মীর সামনেই এই প্রতিবেদকের দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তেড়ে এসে বলেন, ‘আপনি যা খুশি লেখেন। আমার কোনো অসুবিধা নেই।’