নাগরিকের স্বাধীনতা হরণের জবাব রাষ্ট্রকে দিতে হবে

SHARE

982জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে সারাদেশে প্রতিনিয়ত ৭০/৮০ জনকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। একটি সভ্য ও সুশিক্ষিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এটা করতে পারে না। একজন নাগরিকের স্বাধীনতা হরণ করা হলে তার জবাব রাষ্ট্রকে দিতে হবে।

রোববার দুপুরে আরডিআরএস এর বেগম রোকেয়া হলরুমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ে মানবাধিকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক দিনব্যাপি কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সারাদেশে গণগ্রেফতার চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করে মিজানুর বলেন, মা-বাবার কাছ থেকে ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় অথচ দিনে পর দিন তাদের কোনো খোঁজ থাকে না। ৭ দিন আগে কাউকে গ্রেফতার করার পর একদিন আগে কাগজে কলমে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করার মতো তামাশা রাষ্ট্র করতে পারে না। এই প্রতারণা জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের করা উচিত নয়।

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়ে মানবাধিকার নামধারী আন্তর্জাতিক কিছু সংগঠনের ভূমিকার সমালোচনা করে ড. মিজানুর বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ড ব্যবস্থা আছে এবং কার্যকর করাও হচ্ছে। অন্যান্য দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠে না অথচ বাংলাদেশে দু’জন মানবতাবিরোধীর মৃত্যুদণ্ড হলে তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নানা রকম চাপ আসে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

আসন্ন পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে একজন নাগরিক যেন তার ভোটাধিকার প্রযোগ করতে পারেন তা রাষ্ট্রকে ও নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান বলেন, এখানে যদি ব্যতিক্রম ঘটে তাহলে গণতন্ত্রের জন্য তা হুমকির কারণ হবে।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.একেএম নুরুন্নবী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সেক্রেটারি আমজাদ হোসেন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) কাজী হাসান আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়সিন্ধু তালুকদার।