বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়। সতর্ক থাকবেন ভবিষ্যতে যেন ২০০৯ সালের মতো আত্মঘাতী সংঘাত সৃষ্টি না হয়।
রোববার পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০১৫ এর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতা নেয়ার পর আমাকে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। এ কলঙ্কজনক অধ্যায় আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
এ সময় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাড়ে ১২ হাজার বাঙ্গালি বিজিবি (তৎকালীন বিডিআর) যুদ্ধে অংশে নেয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবির কারণের সীমান্তে চোরাচালান, মানবপাচার কমেছে। সীমান্তে নিহতের সংখ্যাও কমেছে। সীমান্তে কেউ আটক হলে তারা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দরভাবে তাদের ফিরিয়ে আনেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেও তারা বেসামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেন। আমি আশা করছি ভবিষ্যতেও বিজিবি সদস্যরা দেশের সুনাম ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখবেন।
এর আগে রোববার সকাল ৯ টা ৪ মিনিটে বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে তিনি বক্তব্য রাখেন।
এর আগে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৫৬ জন বিজিবি সদস্যের মধ্যে বিজিবি পদক, প্রেসিডেন্ট বিজিবি পদক এবং বিজিবি সেবা পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ও বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ।