বিদেশি সরকার বা শিল্প উদ্যোগতা, কনসোর্টিয়াম, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি বা শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে অংশিদারিত্বের মাধ্যমে ব্যবসা করার জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং সেই বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ডেভেলপার নিয়োগের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) আইন-২০১৫ পাস করেছে সংসদ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন সংসদকার্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বিলটির ওপর আনীত সংশোধনী ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে ২০১০ সালের আইনের ২ ধারায় সংশোধনী এনে ৯ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কোনো দেশের সরকারের মধ্যে অংশিদারিত্ব বা উদ্যোগ-অর্থ, ‘বাংলাদেশ সরকার বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ এবং অন্য কোনো দেশের সরকার বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো শিল্প উদ্যোগতা, কনসোর্টিয়াম, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি বা শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে অংশিদারিত্ব বা উদ্যোগ’।
ধারা-৫-এ সংশোধনী এনে উপধারা ১ সংযোজন করে শর্তযুক্ত করে বলা হয়েছে, কেবল তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্দেশ্যে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, এবং ক্যান্টম্যান্ট বোর্ডের আওতাভুক্ত কোনো এলাকাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করা যাবে। এছাড়া আইনের ৮ ধারায় সংশোধনী এনে উপধারা ২ সংযুক্ত করে বলা হয়েছে, উপধারা-১ এবং ধারা ১৯ এর দফা (৩) যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কোনো দেশের সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগে বা এক বা একাধিক সরকারি সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বা অংশিদারিত্বের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ডেভেলপার নিয়োগ করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা সম্ভাবনাময় সকল এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০ প্রণীত হয়। বিদ্যমান আইনের আওতায় বিদেশি সরকারের সঙ্গে জিটুজি চুক্তির ভিত্তিতে অথবা একাধিক সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের পারস্পারিক সহযোগিতা বা অংশিদারিত্বের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কোনো বিধান না থাকায় কতিপয় ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে জিটুজি ভিত্তিতে বা সরকারি কর্তৃপক্ষ/সংস্থার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টির জন্য এ আইনের সংশোধন আনা প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) আইন-২০১৫ প্রণয়ণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।