নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তদন্তের দাবি

SHARE

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই পুরো ঘটনা নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।dfhaetn

উল্লেখ্য, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সেদেশে পালিয়ে যাওয়া নূর হোসেনকে গতকালই বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

নিহতদের পরিবারের সদস্যরা আদালতে বিক্ষোভ করেছেন

নূর হোসেনকে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে বর্ণনা করা হচ্ছিল।

কিন্তু পুনরায় তদন্তের দাবির জবাবে পুলিশ বলছে, এই মামলাটি যেহেতু এখন আদালতে বিচারাধীন, এ বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার কেবল আদালতের।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে নিহত স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন।

নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বলেছেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে কারাগারে পাঠানোর কারণে হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেক তথ্য অজানা থেকে যাবে।

তিনি বলেন, “র‌্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর ভিত্তি করে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে তো নূর হোসেনের কথা আসেনি। সেকারণে আমরা পুনরায় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

সাত খুন হত্যা মামলায় র‌্যাবের সাবেক তিনজন কর্মকর্তাসহ মোট ৩৫ জন এই মামলার আসামি। নূর হোসেন এই তালিকার প্রথমেই রয়েছেন।

বাদী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী সাখাওয়াৎ হোসেন বলছেন, অভিযোগপত্রে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার বাইরেও আরো অনেকে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে তাদের ধারণা।

তিনি বলেন, “হত্যার পরিকল্পনার সাথে আরো কারা কারা জড়িত, হত্যাকাণ্ডের জন্যে কার মাধ্যমে কতো টাকা বিনিময় করা হয়েছে এসব বিষয়ে পুরোপুরি জানা যায় নি। প্রথম থেকেই আমরা এই অভিযোগপত্রের ব্যাপারে অনাস্থা জানিয়ে আসছি।”

তিনি জানান, এব্যাপারে তারা এখন উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলছেন, এই পর্যায়ে এসে নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আইনগত কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনও নেই।

তিনি বলেন, তদন্ত নিখুঁত হওয়ার কারণে আদালত এর ভেতরে ত্রুটি খুঁজে পায়নি। চার্জশিটের ব্যাপারে আর তদন্ত হবে কি হবে না সে ব্যাপারে পুলিশের আর কিছু বলার এখতিয়ার নেই। এখন আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।

এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যেহেতু র‌্যাবের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাই ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার পর তাকে কেনো র‌্যাবের অফিসে নেওয়া হলো সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী বলছেন, এর ফলে মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হতে পারে।

তবে নূর হোসেনকে কেনো র‌্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেবিষয়ে র‌্যাবের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।