প্রধানমন্ত্রীকে ইংল্যান্ড সফরের আমন্ত্রণের ইচ্ছে নেই : ব্রিটিশ হাই কমিশনার

SHARE

gibson0বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আপাতত ইংল্যান্ড সফরের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইংল্যান্ডের হাই কমিশনার রবার্ট ডাব্লিউ গিবসন।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডে সফরের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। এর পাশাপাশি র‌্যাব ও পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়ারও কোনো পরিকল্পনা ইংল্যান্ডের নেই।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করসপন্ডেন্ট এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডি-ক্যাব টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করাই গণতান্ত্রিক শাসন। এটা কমনওয়েলথের ভাবধারা। রাশিয়া ও চীন কমনওয়েলথের সদস্য না। কিন্তু বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্য। তাই কমনওয়েলথের সদস্য হিসেবে বৃটেন এ ব্যাপারে কথা বলতে পারে। এ সময় তিনি ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।

গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার মতো ইস্যুতে বৃটেন চোখ বন্ধ করে নেই বলেও জানান রবার্ট গিবসন।

তিনি বলেন, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষ অংশ নিতে পারেনি, যা আমাদের অত্যন্ত ব্যথিত করেছে। এই নির্বাচনে সহিংস ঘটনা বাংলাদেশের সাফল্যকে ম্লান করে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

হাইকমিশনার বলেন, ভোট ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন শক্তিশালী দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠান, স্বাধীন গণমাধ্যম, আইনের শাসন এবং নারী-পুরষের সমঅধিকার।

এ সময় ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বৃটেনের আগের অবস্থান পূর্ণব্যক্ত করেন তিনি। একইসঙ্গে সমঝোতার জন্য বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে রবার্ট গিবসন বলেন, অধিকাংশ পোষাক কারখানা এখনো যথাযথ মান অর্জন করতে পারেনি।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, পোশাক খাতের উন্নয়নে ইংল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় কিন্তু তাজরীন ফ্যাশন্স এবং রানা প্লাজার মতো মতো অনাকাঙিক্ষত ঘটনা আর দেখতে চায় না। বাংলাদেশের পোশাক খাত খুবই সম্ভাবনাময় একটি খাত। এই খাতের সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করি কিন্তু তা মানুষের জীবনের বিনিময়ে নয়।