মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আগেই বিএনপির হাইকমান্ডকে জানিয়ে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার একটি রেস্তোরাঁয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, “আমার শক্তি ও সাহসের উৎস এই এলাকার মানুষ, ভোটার এবং কর্মী-সমর্থকেরা। তাই তাদের ইচ্ছাই আমার সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি সবার সঙ্গে বসেছি এবং জানিয়েছি—আপনারা যা বলবেন আমি সেটাই করব। তারা আমাকে বলেছেন, আমি নির্বাচন না করলে তারা অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়বেন। সেখান থেকেই আমার নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত। এটি আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়; এটি আমার নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের সিদ্ধান্ত।”
তিনি আরও বলেন, দল থেকে মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার বিষয়টি তিনি আগেই দলকে জানিয়েছিলেন। তাই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত লুকোচুরি বা হঠাৎ সিদ্ধান্ত- এ রকম নয়। মূলত তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি আমার দলকেও এটা জানিয়ে দিয়েছি। দল দলের মতো করে তাদের সিদ্ধান্ত নেবে, আমি আমার সিদ্ধান্ত আমার মতো করে নেব।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বুধবার দুপুরে রুমিন ফারহানার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সরাইল উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন। রুমিন ফারহানার প্রত্যাশিত এ আসনটি শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।




