সিসি ক্যামেরার আওতায় গুলশান-বারিধারা-নিকেতন

SHARE

cc camera gকূটনৈতিক এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজধানীর গুলশান, বারিধারা ও নিকেতন এলাকার সার্বক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় বারিধারা সোসাইটি, গুলশান সোসাইটি, নিকেতন সোসাইটি এবং গুলশান ইয়ুথ ক্লাব এ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করে। যা গুলশান থানা ও ডিএমপির সেন্ট্রাল কমান্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে গুলশানের ল’ অ্যান্ড অর্ডার কো-অরডিনেশন কমিটি।

প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে নতুনবাজার, গুলশান ১ ও ২, হাতিরঝিল, নিকেতন এবং বারিধারায় মোট ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে আরও ৭০০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে সব সময় নজরদারি ছাড়াও ফেস ডিটেকশন, ভেহিকেল ট্র্যাকিং, ট্রাফিক কন্ট্রোল, অটো নাম্বার প্লেট ডিটেকশন, ক্রিমিনাল ডিটেকশন করা যাবে।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, আমরা এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে নগরের যানজট ও নিরাপত্তা রক্ষা করা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। তবে এসব উদ্যোগ সফল করতে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য পুলিশ-জনগণের মধ্যে পার্টনারশিপ বজায় রাখা। এটি একটি যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক উদ্যোগ। উদ্যোগ গ্রহণকারীদের সবাইকে আমি সালাম জানাই।

তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকা মহানগরীকে এ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে গুলশানের বাসিন্দারা অসম্ভবকে সম্ভব করলেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও অপরাধীদের খুঁজে বের করতে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবেও সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ করতে আয়োজকদের প্রস্তাব দেন বেনজীর আহমেদ।

এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এমন একটি ঐতিহাসিক ক্ষণে আসতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। জননিরাপত্তা নেওয়ার যেকোনো উদ্যোগের পাশে সব সময় থাকবে পুলিশ। আমাদের পরিকল্পনা পুরো মহানগরীকেই সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা। তবে এটি পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ কাজ করবো।

অনুষ্ঠানে গুলশান সোসাইটির সভাপতি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদাসহ সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।