নতুন কাঠামোতে বিপিএলের তৃতীয় আসর ডিসেম্বরে

SHARE

bplআগামী বছরই ভারতে অনুষ্ঠিত হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। বিসিবির ক্যালেন্ডারেও নেই কোনো স্বীকৃত টি-২০ টুর্নামেন্ট। নানা ঝড় ঝাপটার কারণে বিসিবির সোনার ডিম পাড়ার হাঁস বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) বন্ধ প্রায় দুই বছর ধরে। নতুন করে বিপিএল আবার শুরু করার চিন্তা করছে বিসিবি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল না হলেও বিসিবির পরিচালকরা এসব নিয়ে আলোচনা করেছেন নিজেদের মাঝে। আগামী ডিসেম্বরেই বিপিএলের তৃতীয় আসর করতে চায় বিসিবি।

তবে এবার বিপিএল করতে চায় বিসিবি নতুন কাঠামোতে। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে মিল রেখে, বাস্তব সম্মত আর্থিক কাঠামোতে। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা। সব দিকে পরিবর্তন করে নতুন ভাবে শুরু করার আশা করছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব আই এইচ মল্লিক বলেন, “বিসিবির এখন কোনো অফিসিয়াল টি-২০ টুর্নামেন্ট নেই। ডিসেম্বরে একটা সময় আছে। আমরা দেখছি সেটা কিভাবে সেট করা যায়। দীর্ঘদিন বিপিএল বন্ধ। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে এটা একটা কাঠামোর মাঝে আনা যায়।” তিনি আরও বলেন, “আগে আর্থিক কাঠামোটা বাস্তব সম্মত ছিল না। যেমন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে ৪০০ কোটি টাকা দিতে হবে বিসিবিকে। এটা টিকে থাকার মতো নয়। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে যায় না। আমরা এমন কাঠামো করতে চাচ্ছি যা সবার জন্য সহনীয় হয়।”

বিপিএলের দ্বিতীয় আসরটি হয়েছিল ২০১৩ সালে। ওই আসরের দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ৯০ ভাগ শোধ করা হয়েছে বলেই জানালেন আই এইচ মল্লিক। সেটার বেশিরভাগই বিসিবি শোধ করেছে। তারপরও সঠিক দাবি থাকলে সেগুলো শোধ করবে বিসিবি। দেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এজন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে। সবমিলিয়ে ক্রিকেটারদের যে টাকা বাকি আছে তা দুই সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা বলেন, “আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিপিএল শুরু করবো। ডিসেম্বরেই করবো। ফরম্যাট পরিবর্তন হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিসহ সব কিছু হবে বাস্তবসমম্মত।”

উল্লেখ্য, বিপিএল ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বিগ বাজেটের টুর্নামেন্ট। ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি নিয়োগ, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক মিলিয়ে বিপিএলে ছিল টাকার ছড়াছড়ি। উচ্চাবিলাসী সেই চাহিদা শেষ পর্যন্ত কোনো পক্ষই মেটাতে পারেনি। উল্টো বর্হিবিশ্বে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে বিপিএল নিয়ে। তাছাড়া ফিক্সিংয়ের কলঙ্ক তো টুর্নামেন্টটাই বন্ধ করে দিয়েছে।