নির্ধারিত স্টপেজে পৌঁছানোর পরও আন্তনগর ট্রেনটি থামল না। কেবল গতি কিছুটা কমল। নিরুপায় অনেক যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিলেন। এভাবে নামতে গিয়ে দুজন আহত হলেন। যারা নামলেন, তারা ঘুরপথে গেলেন নিজ নিজ ঠিকানায়। গত সোমবার রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে আখাউড়া-সিলেট রেলপথের শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখী কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনটির মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে থামার কথা ছিল। স্টেশন মাস্টার বলছেন, ট্রেনের চালক ও পরিচালকের দায়িত্বহীনতার কারণেই এমনটা ঘটেছে।
ট্রেনের যাত্রী ব্যবসায়ী জুয়েল আহমদ ও রোগী ইউসুফ আলী অভিযোগ করেন, তারা ঢাকা থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। সোমবার রাত পৌনে নয়টার দিকে ট্রেনটির শমশেরনগর পৌঁছানোর কথা ছিল। ট্রেনটি রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে শমশেরনগর স্টেশন পার হয়ে যায়। আশ্চর্যের বিষয় যে শমশেরনগরে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি থাকা সত্ত্বেও ট্রেনটি না থেমে ধীর গতিতে চলতে থাকে।
তিনি জানান, অনেক যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামতে শুরু করেন। এতে দুজন আহত হন। অনেকে পরে কুলাউড়া স্টেশনে নেমে যান। সেখান থেকে রাতের ঢাকামুখী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শমশেরনগরে যান।
যাত্রী জুয়েল বলেন, “ট্রেনের সহকারীর (অ্যাটেনডেন্ট) মাধ্যমে চালক ও পরিচালককে ফোন করে থামানোর অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ট্রেনটি থামানো হয়নি।”
এ ব্যাপারে শমশেরনগর স্টেশন মাস্টার আব্দুল আজিজ বলেন, “ট্রেনের চালক ও পরিচালকের দায়িত্বহীনতায় এমনটা ঘটেছে।” দুই যাত্রী আহত হওয়ার কথা জানালেও তাদের নাম জানাতে পারেননি তিনি।
এ ঘটনায় কুলাউড়া রেলওয়ের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিটিআই) আতাউর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন স্টেশন মাস্টার, কুলাউড়া ও সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (এসএসএই), সিগনাল কুলাউড়া ও লকো পরিদর্শক আখাউড়া। কমিটি তিন দিনের মধ্যে রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের (ডিআরএমও) কাছে প্রতিবেদন দেবে।
মঙ্গলবার সকালে কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক মো. আমানউল্লা বলেন, ট্রেন থামানোর জন্য তিনি ভ্যাকুয়াম ব্যবহার করেন। তবে চালক থামাননি।