টাইগারদের হারিয়ে দুঃখ ঘুচল পাকিস্তানের

SHARE

51907_7th_wick_bg_167908773পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের শেষটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। সফরকারীদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি জয়ের পর সিরিজের প্রথম টেস্টে মর্জাদার ড্র করেছিল টাইগাররা।

তবে সিরিজের শেষ টেস্টে হেরে গেল ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে। আর এবারের বাংলাদেশ সফরে এই প্রথম জয়ের মুখ দেখল পাকিস্তান।

ঢাকা টেস্টে পাকিস্তানের দেওয়া ৫৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২২১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৬৩ রান।  তামিম ইকবাল ৩২ ও মুমিনুল হক ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেখান থেকে শনিবার চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন দুজন। তবে দলীয় ৮৬ রানে ব্যক্তিগত ৪২ রান করে ফিরে যান তামিম।

ইমরান খানের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি। ৬৭ বলে ৭ চারে তামিমের সংগ্রহ ৪২ রান।

তামিমের বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে আর ৯ রান জমা হতেই সাজঘরের পথ ধরেন নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। ইমরানের বলে ইউনুস খানের হাতে ধরা পড়েন এই ডানহাতি। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।

এরপর মুমিনুলের সঙ্গে ২৬ রানের জুটি গড়ে সাকিবও বিদায় নেন। মোহাম্মদ হাফিজের বল ক্রিজ ছেড়ে উঠে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ধরা পড়েন ১৩ রান করা সাকিব।

ইনিংসের ৩৬তম ওভারে ইয়াসির শাহর বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি করেন এক প্রান্ত আগলে রাখা মুমিনুল। এই ফিফটির মাধ্যমে অনন্য আরেকটি কীর্তি গড়েন এই বাঁহাতি। টেস্টে টানা ১১ ম্যাচে ফিফটি বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড করেন মুমিনুল। আর এই রেকর্ডে কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসের পাশে নিজের নাম লেখান তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তিও টেস্টে টানা ১১ ম্যাচে ফিফটি বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড করেন। রিচার্ডস ছাড়া ভারতের গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দ্রর শেবাগেরও এমন রেকর্ড রয়েছে। আর টেস্টে টানা ১২ ম্যাচে এমন কীর্তি গড়ে সবার ওপরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স।

মুমিনুল ফিফটি করলেও ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে নেমে ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম। দলীয় ১২৬ রানে মুশফিকুর ফেরেন ডাক মেরে। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ইয়াসির শাহর বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মধ্যাহ্ন বিরতির পর দলীয় ১৩৯ রানে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। এক প্রান্ত আগলে রাখা মুমিনুলও বিদায় নেন দলীয় ১৪৩ রানে। ১০২ বলে ৯ চারে ৬৮ রান করেন মুমিনুল।

অষ্টম উইকেটে শুভাগত হোমের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন তাইজুল ইসলাম। ইয়াসির শাহর বলে সামি আসলামকে ক্যাচ দেওয়ার আগে তাইজুলের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। শেষদিকে শুভাগত হোমের ব্যাটে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারে বাংলাদেশ। দলীয় ২২১ রানে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন শুভাগত।

এর আগে ৮ উইকেটে ৫৫৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করা পাকিস্তান ৬ উইকেটে ১৯৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে প্রথম ইনিংসে ২০৩ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৫০ রান।