নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মার্কিন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল সিরিয়া

SHARE

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার শুরুর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারস্পরিক সম্মান ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ভিত্তিতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতায় আগ্রহী সিরিয়া। মার্কিন প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্ত সিরিয়ার মানবিক ও অর্থনৈতিক দুর্ভোগ লাঘবের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন সংশ্লিষ্টরা।

সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রথম কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। দেশটিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

চলতি মাসে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে সিরিয়ার ওপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় দেশটির নেতা আহমেদ আল শারার সঙ্গেও সাক্ষাত করেন ট্রাম্প। এবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলো ট্রাম্প প্রশাসন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানায়, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এর ফলে সিরিয়ায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি হবে। প্রেসিডেন্টের আমেরিকা ফার্স্ট কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের ‘সিজার সিরিয়ান নাগরিক সুরক্ষা আইন’-এর আওতায় ১৮০ দিনের জন্য একটি ছাড়পত্র জারি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সিরিয়ায় বিনিয়োগের বাধা কাটাতে এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবার পাশাপাশি মানবিক সহায়তার উদ্দ্যেশে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এর মাধ্যমে দেশ দুটির এক নতুন সম্পর্কের সূচনা হতে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সিরিয়ার সরকারের কাছ থেকেও কিছু পদক্ষেপের প্রত্যাশা করেছেন ট্রাম্প। এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সিরিয়ার ওপর তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এই সিদ্ধান্তের আওতায় সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ ‘আনফ্রিজ’ করা হয় এবং দেশটির ব্যাংকিং খাতকে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে প্রবেশাধিকার দেয়া হয়।