বাংলাদেশের মান বাঁচানোর লড়াই আজ

SHARE

শারজায় বুধবার (২১ মে) টাইগারদের মান বাঁচানোর লড়াই। সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বোলিং-ফিল্ডিংয়ের হাস্যকর ভুলগুলো শুধরে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লিটনের দল। অন্যদিকে, ঐতিহাসিক জয়ের পর উজ্জীবিত ইউএই। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়

ম্যাচের যেকোনো মুহূর্তে তালগোল পাকিয়ে ফেলার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। প্রতিপক্ষকে মোমেন্টাম উপহার দিতে এই দল রীতিমতো সিদ্ধহস্ত। বড় দলের বিপক্ষে তবুও না হয় মেনে নিয়েছেন দর্শকরা। কিন্তু, এখন র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষেও একই হাল।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২০৬ রানের টার্গেট দিয়েও হেরেছে লিটনের দল। বোলিং ইনিংসে তাদের কান্ড কারখানা দেখে সবার চোখ উঠেছে কপালে, মাথায় উঠেছে হাত। রানআউটের সুযোগ পেয়েও তাওহীদ হৃদয়ের বিস্ময়কর থ্রো, শরিফুল ইসলামের অহেতুক ওভার থ্রো, তানজিম সাকিবের নো বল, ফুলটস—হাস্যকর সব কাহিনী! জেতা ম্যাচ কিভাবে হারতে হয়, তার আদর্শ উদাহরণ বাংলাদেশ-ইউএই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে এই সফর আসলে এফটিপির বাইরের। মূলত, পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি সারতে চেয়েছিল ফিল সিমন্সের দল। শুরুতে সিরিজ ছিলো ২ ম্যাচের। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী হলে এপিক ম্যাচটাই হতো শেষ। সিরিজটাও শেষ হতো সমতায়। তবে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগেই বিসিবি ও এমিরেটস বোর্ডের সমঝোতায় ম্যাচ বাড়ে একটা। তাই শারজায় বাংলাদেশ-আমিরাত সিরিজ এখন ৩ ম্যাচের। সে হিসেবে শেষটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজ নির্ধারণী বা অঘোষিত ফাইনাল।

বেশিরভাগ মানুষই হয়তো ভাবেননি যে আরব আমিরাতের বিপক্ষে এতোটা প্রেশারে থাকবে বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিং, অভিজ্ঞতা কোনো হিসেবেই এমন কোণঠাসা হওয়ার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় না। যদিও শিশিরে বোলিং-ফিল্ডিং কঠিন বা স্বাগতিকরা অনেক সুবিধা পেয়েছে এমন কথাবার্তা বলে দায়সারা ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছেন অধিনায়ক।

দুই ম্যাচেই স্কোরবোর্ডে দুইশ’র আশপাশে রান তুলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা ভালো মার্কই পাচ্ছেন। যদিও প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইমন ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি দ্বিতীয়টায়। শেষ ম্যাচে একাদশে ফিরতে পারবেন কি না আশঙ্কা আছে। তানজীদ তামিম, শান্ত, হৃদয়রাও মারকুটে ইনিংস খেলেছেন। তবে, বেশ নড়বড়ে ছিলেন লিটন।

চিন্তা বেশি বোলিং নিয়ে। পেসারদের উন্নতি নিয়ে গেলো কয়েক বছর এতো কথা হয়েছে। অথচ তারাই কত সাদামাটা এই সিরিজে। প্রথম ম্যাচে মোস্তাফিজের স্পেল ছাড়া বলার মতো কিছু নেই। শরিফুল, তানজিম সাকিব আর পেস সেনসেশন নাহিদকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন ইউএই ব্যাটাররা।

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা পেতে হয়েছিলো। বছর ঘুরতেই আইসিসির আরেক সহযোগী সদস্যের বিপক্ষে সিরিজ হারের চোখ রাঙানি। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আর কতো নামবে? উজ্জীবিত আরব আমিরাতের সামনে মান বাঁচাতে মরিয়া টাইগার বাহিনী।