ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়া উচিত। তবে তিনি বৃহস্পতিবার এটাও বলেন, এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেই এবং যুদ্ধ হলে সেটি আমাদের বিষয় না।
ফক্স নিউজের অনুষ্ঠানে মার্থা ম্যাকক্যালামের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, ‘আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব এ পরিস্থিতির অবসান হোক। কিন্তু আমরা এসব দেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।
’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি, উত্তেজনা কিছু কমিয়ে আনার। তবে এ ধরনের যুদ্ধের মাঝখানে গিয়ে জড়াতে চাই না, কারণ এটি আমেরিকার বিষয় না এবং আমেরিকার এতে নিয়ন্ত্রণ রাখার কোনো সুযোগ নেই।’
চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অপরদিকে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানের গুরুত্ব কিছুটা কমলেও দেশটি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো মিত্র।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন এবং গাজায় যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানে ব্যস্ত থাকায় ভারত-পাকিস্তান সংকটে শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি চাপ প্রয়োগ নাও করতে পারে।
বৃহস্পতিবার টানা দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার অভিযোগ তুলেছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আরো পাল্টা জবাব এখন ‘প্রায় অবশ্যম্ভাবী।’ দুইদিনের লড়াইয়ে প্রায় চার ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন।
২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা শুরু হয়। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ি করে, যদিও ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।
ভ্যান্স বলেন, ‘আমরা আশা করছি এবং প্রত্যাশা করছি এটি বড় আকারের আঞ্চলিক যুদ্ধ বা পারমাণবিক সংঘাতে রূপ নিবে না।’
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দুই দেশের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ করছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ও সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুইপক্ষ পাল্টা-পাল্টি পদক্ষেপ নিচ্ছে, এখন থামাই ভালো।’ স্টেট ডিপার্টমেন্টও উভয় দেশকে ‘দায়িত্বশীল সমাধানের’ পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র : আলআরাবিয়া