লোহিত সাগরে চলমান মার্কিন বিমানবাহী রণতরী থেকে টো ট্র্যাক্টরসহ একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান সাগরে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে। গত সোমবার এই ঘটনা ঘটে বলে মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হুতি গোষ্ঠীদের ছোড়া গুলি এড়াতে বিমানবাহী রণতরীটি যখন দ্রুত বাঁক নিচ্ছিল, তখন একটি এফ/এ-১৮ই যুদ্ধবিমান ইউএনএন ট্রুম্যান থেকে পড়ে যায়। ইয়েমেনের এই সশষ্ত্র গোষ্ঠীটি এর আগেও বিমানবাহী রণতরী ট্রুম্যানকে লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে।
ঘটনার সময় ক্রুরা বিমানবাহী জাহাজ ট্রুম্যানের হ্যাঙ্গার বেতে থাকা এফ/এ-১৮ই সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, ফলে যুদ্ধবিমানটি সাগরে পড়ে যায়। এ ছাড়া একটি টো ট্র্যাক্টরও সাগরে পড়ে যায়। বিমানটি সাগড়ে পড়ে যাওয়ার আগে নাবিকরা বিমানটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয় একজন মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, বিমানটি সাগরে ডুবে গেছে।
নৌবাহিনীর মতে, একটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানের দাম ৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
এক বিবৃতি অনুসারে, সকল কর্মীদের খোঁজ নেওয়া হয়েছে, তারা সুস্থ আছে। তবে একজন নৌবাহিনীর নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
গত পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন বিমান ও নৌ হামলা চালিয়ে আসছে হুতি গোষ্ঠীদের লক্ষ্য করে। কিন্তু অভিযানের ফলাফল সম্পর্কে তারা মুখ বন্ধ করে রেখেছে।
আলআরাবিয়া ইংলিশ গত সপ্তাহে তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, অভিযানগুলোতে কমপক্ষে ৫০০ হুতি যোদ্ধা নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মীও রয়েছেন। হুতিরা বারবার দাবি করেছে, তারা এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক সম্পদে আক্রমণ করেছে। অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, কোনো আক্রমণই তাদের কাছাকাছি পৌঁছায়নি।
গত মার্চ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে পাঁচটি এমকউ-৯ রিপার ড্রোনও হারিয়েছে। যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। হুতি দাবি করেছে, তারা এগুলো ভূপাতিত করেছে।
ট্রুম্যান ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন রয়েছে এবং ঘটনার সময় লোহিত সাগরে ছিল। সোমবার নৌবাহিনী জোর দিয়ে বলেছে, স্ট্রাইক গ্রুপ এবং এর বিমান শাখা সম্পূর্ণরূপে মিশন পরিচালনায় সক্ষম।
সূত্র : আল আরাবিয়া, সিএনএন