ভারতের মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিলটি এখন রাজ্যসভায় তোলা হবে। এরপর যাবে লোকসভায়।
মঙ্গলবার দুপুরে ভারতের মন্ত্রিসভায় এ বিলটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে ’৭৪-এর সীমান্ত চুক্তিটির পুরোপুরি বাস্তবায়নে ২০১১ সালে মনমোহন-হাসিনা স্বাক্ষরিত প্রটোকল অনুযায়ী পুরো বিলটি বাস্তবায়নের সব বাধা কেটে গেল।
এর আগে গত সপ্তাহের মন্ত্রীসভার বৈঠকে আসামকে বাদ দিয়ে এ বিলটি রাজ্যসভায় তোলার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত এতে প্রবল বিরোধিতার করে সে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এবং আসাম রাজ্য সরকার।
এ নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দুই পরাশক্তি কংগ্রেস ও বিজেপির মুখোমুখি অবস্থানের কারণে স্থল সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এমতাবস্থায় সোমবার কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতা গোলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও সংসদীয় মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে বৈঠক করে ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত চুক্তিতে আসামকে অন্তর্ভুক্তির জোরালো দাবি জানান। এ সময় আসামকে বাদ দেওয়া হলে এর নেতিবাচক দিকগুলো মন্ত্রীদের অবহিত করেন।
এ চুক্তিটি নিয়ে দু’দিন আগে কংগ্রেস শাসনাধীন আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে আসামকে বাদ দেওয়ার চেষ্টার আপত্তি জানিয়েছেন। কংগ্রেস রাজ্যসভায় বিরোধিতা করলে এই সংবিধান সংশোধন বিল দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনে পাস হওয়া কঠিন।
এসব নানা বিষয় বিবেচনা করে সোমবার রাতে আসাম বিজেপির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বিজেপির নীতিনির্ধারকরা। তারা পরিষদের বৈঠকের সিধান্ত পুনর্বিবেচনা করে চুক্তিতে আসামকে অন্তর্ভুক্তির সিধান্ত নেন। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে বিলটি দ্বিতীয়দফা অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা। আগামীকাল বুধবার রাজ্যসভায় বিলটি উঠবে।
২০১৩ সালে চুক্তিটি রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হয়। পরে এটি কংগ্রেস নেতা শশী থারুরকে প্রধান করে একটি নির্বাচিত কমিটির কাছে পাঠানো হয়। ওই কমিটি চুক্তিটি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়।