ফের গাজার মানুষের পাশে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

SHARE

হলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবারও গাজার মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স’ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট শেয়ার করে তিনি ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (UNHCR)-এর শুভেচ্ছা দূত এবং পরবর্তীতে বিশেষ দূত হিসেবে দুই দশকের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করা জোলি তাঁর শেয়ার করা পোস্টে গাজার পরিস্থিতিকে আখ্যা দিয়েছেন “ফিলিস্তিনিদের ও তাদের সাহায্যকারীদের জন্য একটি গণকবর” হিসেবে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে চলমান সামরিক অভিযানের ফলে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে, যার ফলে এক বিশাল জনগোষ্ঠী চরম দারিদ্র্য ও অনিরাপত্তার মধ্যে দিন পার করছে। পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলা শুধুমাত্র বেসামরিক জনগণের ওপর নয়, তা সরাসরি মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও হুমকি তৈরি করেছে।

জোলির অবস্থান সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসা যেমন পেয়েছে, তেমনি ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। তবে, এই সমালোচনায় বিচলিত নন অভিনেত্রী। বরং, মানবাধিকার ও শরণার্থী সংকটের বিরুদ্ধে তাঁর দীর্ঘদিনের অবস্থানকে তিনি আরও জোরালো করেছেন সাম্প্রতিক এই বার্তায়।

২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতেও জোলি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, “একটি অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠীর ওপর এই ধরণের অব্যাহত হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে।”

গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত ৫১,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই নারী ও শিশু।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো একজন বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বের এই অবস্থান বিশ্বজনমত গঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তিনি আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা অবিলম্বে গাজায় সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।