ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ডিনিপ্রোতে রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন হামলায় চারজন নিহত এবং আরো ২১ জন আহত হয়েছেন। হামলার ফলে বহুতল ভবন, একটি হোটেল, সার্ভিস স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বাড়িঘরে আগুন ধরেছে।
অঞ্চলটির আঞ্চলিক প্রধান সের্হি লিসাক বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে হামলার পর একটি রেস্তোরাঁ কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শত্রুরা শহরে ২০টিরও বেশি ড্রোন পাঠিয়েছে এবং এর বেশির ভাগই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
’ উদ্ধারকারী দল একটি হোটেল এবং রেস্তোরাঁ কমপ্লেক্সে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
রাজধানী কিয়েভসহ আরো বেশ কয়েকটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলে বিমানের সাইরেন বাজতে শোনা গেছে। তবে সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম বেলগোরোড অঞ্চলে তিনটি ইউক্রেনীয় ড্রোনকে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি আবারও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করেছেন। যদিও এর আগে রাশিয়া সম্মত হয়েছিল যে, ইউক্রেনীয় জ্বালানি অবকাঠামোতে আক্রমণ করবে না।
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, ইউক্রেনকে সাময়িকভাবে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত, যাতে তারা আরো যোগ্য সরকার নির্বাচন করতে পারেন। এটিকে কিয়েভ সরকারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ক্রেমলিনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ জন্য ইউক্রেনের মিত্ররা ব্যাপকভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ব্যয়বহুল যুদ্ধের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রেমলিন এবং কিয়েভকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে চাপ দেওয়ার পরেও রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই তাদের বিমান হামলা জোরদার করেছে।
সূত্র : বিবিসি