তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড জয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখলেও আজ আর পারেনি পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের কাছে ১১৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি সর্বোচ্চ ব্যবধানের রানের হার। এর আগে ২০১৬ সালে ওয়েলিংটনে ৯৫ রানে হেরেছিল পাকিস্তান।
সর্বশেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড ২০৫ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। আজ চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে লক্ষ্যটা আরো বাড়িয়ে দেয় স্বাগতিকেরা। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ২২১ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে গিয়ে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে যেন অতীত ইতিহাসই মনে করাল সালমান আগার দল।
লক্ষ্য বড় হওয়ায় জয় পাওয়াটা কঠিন ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই বলে দুর্দান্ত জয় নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বীতাও গড়তে পারবে না। তাদের ইতিহাস অবশ্য এমনি, তাদের পারফরম্যান্স অননুমেয়।
সিরিজে সমতায় ফিরতে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক ধাক্কা খাইতে থাকে পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়ায় দুর্দান্ত শুরুর বিপরীতে দলীয় ৮ রানে ফিরে পাকিস্তানকে বিপদে ফেলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও হাসান নওয়াজ। সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হাসান আজ আউট হয়েছেন ১ রানে। তার আগে ২ রানে ফেরেন ওপেনিং সঙ্গী হারিস।
সেই শুরু এরপর দেখতে না দেখতেই দলটির ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে পড়ে, ৫৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে। তখন শঙ্কা জেগেছিল সিরিজে আরেকবার ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার।
প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। তবে সেই শঙ্কা দূর করেন আব্দুল সামাদ। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার সময় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন তিনি।
পাকিস্তানকে অল্পতে অলআউট করতে নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ে নেতৃত্ব জ্যাকব ডাফি ও জাকারি ফোকস। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেওয়া ডাফির বিপরীতে ৩ উইকেট নিয়েছেন ফোকস।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে রানের পাহাড় গড়তে নেতৃত্ব দেন দুই ওপেনার টিম সেইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। ৪.১ ওভারে ৫৯ রানের জুটি গড়ে। ৬ রানের জন্য সেইফার্ট (৪৪) না পারলেও ঠিকই ফিফটি পেয়েছেন অ্যালেন। ২০ বলে কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। দুই ওপেনারের মতো শেষ দিকে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে বড় রানে অবদান রেখেছেন অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল।