অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে দেশের সংস্কার হবে সে বিষয়ে রূপরেখা বর্ণনা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ বিষয়ে জানান।
সাক্ষাতকারে বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় লক্ষ্য হিসেবে আপনি সংস্কারের কথা বলেছেন এবং এটি নিয়ে আপনি অনেকগুলো কমিশনও গঠন করেছেন। কিন্তু এখন যেহেতু আপনারাই বলছেন যে এ বছরের শেষে নির্বাচন হবে; তো এই অল্প সময়ের আপনারা সংস্কার কতটা করতে পারবেন বলে মনে করেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটার প্রক্রিয়া আমরা শুরু করে দিয়েছি।
আমরা একেবারে প্রত্যেকটা বিষয়ে সুপারিশ দেব। সুপারিশের সঙ্গে কথা থাকবে; আপনারা রাজনৈতিক দল এটাকে সমর্থন করেন? এতে রাজি আছেন, রাজি থাকলে বলেন, রাজি না থাকলে বলেন। আমরা এই যে সুপারিশটা আছে সেটার মধ্যে যদি কোনো একটা সংশোধনী এলে আপনি রাজি হবেন, সেটা বলেন। এটা কি নির্বাচনের আগে সংশোধন করা ঠিক হবে, নাকি নির্বাচনের পরে করা হবে; সব প্রশ্নের এখানে সমাবেশ আছে।
রাজনৈতিক দলকে শুধু বলতে হবে— এটা রাজি, এটা রাজি, এটা রাজি না। এটা বলে দিলেই হবে।
তিনি বলেন, সবকিছু মিলিয়ে তারপর আমরা ঠিক করব, কোন সুপারিশে সবাই একমত হয়েছেন। এ রকম যেসব সুপারিশে তারা একমত হয়েছেন সেগুলো আমরা আলাদা আরেকটি কাগজে নিয়ে আসব।
এরপর আলাদা কাগজে লিখব যে, এ সমস্ত বিষয়ে সবাই একম হয়েছেন। তখন এটাকে আমরা বলব একটা চার্টার, জুলাই চার্টার। তারপর সবাইকে আহ্বান জানাব, যেহেতু এবার আপনারা একমত হয়েছেন তাহলে এই জুলাই চার্টারে সই করে দেন। এই মতেই আমরা এখন থেকে চলব। সেই পরিপ্রেক্ষেতেই তখন নির্বাচনটা হবে।
নির্বাচনের আগে যেটা বলেছেন সেটা নির্বাচনের আগে হবে, যেটা নির্বাচনের পরে বলেছেন সেটা নির্বাচনের পরে হবে। সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু আপনারা একমত হয়েছেন। সেই ঐকমত্যই আমরা গঠন করার চেষ্টা করছি।
তাহলে কি বলা যায় যে নির্বাচনটা এই বছরের মধ্যেই হচ্ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা তো সেটা ঘোষণা করেই দিয়েছি, নতুন করে আর বলার তো কিছু নেই।