নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে বাস রিকুইজিশনে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা পাঁচটি বাস রিকুইজিশন করতে সাহায্য করেছে। কিন্তু এই বাসগুলোর কোনো ধরনের খরচ ডিসি অফিস থেকে দেওয়া হয়নি।’
শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম এ কথা বলেন।
প্রেসসচিব বলেন, ‘ডিসি আশরাফুল আলম জানিয়েছেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পিরোজপুর শাখা এবং নাগরিক কমিটি তাদের কাছে বাস রিকুইজিশনের জন্য জানিয়েছে। এ জন্য তারা ডিসির কাছে চিঠিও দিয়েছে। এর সঙ্গে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন এবং নিহতদের পরিবার সবাই মিলে এসে জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছিল। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে এক প্রকার চাপে তারা পাঁচটি বাস রিকুইজিশন করতে সাহায্য করেছে।
কিন্তু এই বাসগুলোর কোনো ধরনের পেট্রলের খরচ, যাতায়াত খরচসহ কোনো খরচই ডিসি অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে কোনো সম্পৃক্ততা ডিসি অফিসের ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি যে এই ধরনের ঘটনা আরো কোথাও পুনরাবৃত্তি হয়েছে কি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘পিরোজপুরের পাঁচটি বাস রিকুইজিশন করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ আসছে যে পিরোজপুরের ডিসি অফিস এই কাজে সহায়তা করেছে।
এটার কিছু অভিযোগ আমাদের উদ্দেশ্যেও এসেছে, হয়তো অন্তর্বর্তী সরকার এই বাসগুলো রিকুইজিশন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। আমি এখানে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকারের এখানে কোনো ভূমিকা নেই।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্ত্রিপরিষদসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, সব রাজনৈতিক দলের জন্য এই সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করছে।
যাতে সুন্দর একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সব দল অংশ্রগ্রহণ করতে পারে। এটা হচ্ছে আমাদের মূল দায়িত্ব। সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমরা সমান। সেই জায়গা থেকে যা বলা হচ্ছে—সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত বলে আমরা মনে করি।’