আংকারায় এরদোয়ান ও জেলেনস্কির বৈঠক

SHARE

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান মঙ্গলবার আংকারায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, যখন কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া আলোচনার প্রতিক্রিয়ায় নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে চাইছে।

জেলেনস্কি সোমবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে তুর্কি রাজধানীতে পৌঁছন। তিনি টেলিগ্রামে জানান, এরদোয়ানের সঙ্গে বন্দি বিনিময়সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া সর্বশেষ ২০২৪ সালের মার্চে তুরস্ক সফর করা জেলেনস্কির বুধবার সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এরদোয়ানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ২টায় শুরু হওয়া এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো, যখন শীর্ষ মার্কিন ও রুশ কূটনীতিকরা সৌদি আরবে তাদের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন, যা প্রায় তিন বছর আগে ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর তাদের প্রথম বৈঠক।

এরদোয়ানের শীর্ষ সহযোগী ফাহরেত্তিন আলতুন সোমবার জানান, দুই নেতা তাদের দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।

ন্যাটো সদস্য তুরস্ক কৃষ্ণসাগরীয় এই দুই শত্রুপক্ষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে আসছে। এরদোয়ান নিজেকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী ও শান্তির দূত হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
আংকারা ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করলেও মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা থেকে বিরত রয়েছে।

সৌদি আরব ও ইউএইর পাশাপাশি তুরস্ক রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যস্থতা করেছে, যার ফলে শত শত বন্দি মুক্ত হয়ে নিজ দেশে ফিরতে পেরেছে, যদিও যুদ্ধ এখনো চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেন, যা ক্রেমলিনের ভাষায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রচেষ্টার অংশ।

মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা তাদের দুই নেতার মধ্যে এক শীর্ষ সম্মেলনের পরিকল্পনা করছেন, যা ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কারণ তারা আশঙ্কা করছে, তাদের বাইরে রেখেই যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করা হতে পারে।

সূত্র : এএফপি