আগামী বৃহস্পতিবার চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এসব মরদেহ গ্রহণে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার ছয়জন জীবিত বন্দিকে ফিরিয়ে আনার জন্যও কাজ করছে বলে সোমবার একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এই মুক্তি সফল হলে, গত মাসে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ৩৩ জনের মধ্যে শুধু চারজন জিম্মি গাজায় থাকবেন (যাদের সবাইকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে)। কাতার এবং মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ধারাবাহিকভাবে অস্থায়ী বাধা এবং উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্ত্বেও সঠিক পথে রয়েছে। তবে হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়া হাজার হাজার গাজাবাসীর জন্য আবাসন সামগ্রী সরবরাহে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ইসরায়েল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্য জিভ এলকিন বলেছেন, চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে হামাসের ওপর ইসরায়েলের সব কৌশল ব্যবহার করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি, আটক ব্যক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার।
তিনি পাবলিক ব্রডকাস্টার কানকে আরো বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ের জিম্মিদের, অবশ্যই জীবিতদের মুক্তির বিষয়টি এগিয়ে আনার লক্ষ্য ইসরায়েলের রয়েছে।’ এখন পর্যন্ত ১৯ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই সঙ্গে পাঁচজন থাই নাগরিককেও।
হামাস জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে মুক্তি পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ৩৩ জন জিম্মির মধ্যে ২৫ জন জীবিত আছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার এবং গাজাকে মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন একটি জলসীমান্ত উন্নয়ন হিসেবে গ্রহণের আহ্বানের কারণে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ম্লান হয়ে পড়েছে। কিন্তু কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে, যা অবশিষ্ট জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন ও ইসরায়েলি প্রত্যাহারের বিষয়টি মোকাবেলা করবে।
একটি ইসরায়েলি দল ইতিমধ্যেই কায়রো ভ্রমণ করেছে এবং নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য কাতারে যাওয়ার জন্য একটি উচ্চ স্তরের ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলকে অনুমোদন দিয়েছে। জিভ এলকিন, ‘আমরা সবাই দ্বিতীয় পর্যায়ে এগিয়ে যেতে চাই এবং জিম্মিদের মুক্তি দিতে চাই।
তবে প্রশ্ন হলো কোন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ শেষ হবে, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য এটিই মূল বিষয়।’
সূত্র : রয়টার্স