নাসরুল্লাহকে হত্যার অভিযান সম্পর্কে অবগত ছিল যুক্তরাষ্ট্র

SHARE

বৈরুতে ব্যাপক ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। বলা হচ্ছে, নাসরুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে মাত্র কয়েক মিনিটে ৮০টিরও বেশি বোমা ফেলে ইসরাইল। যেখানে একেকটা বোমার ওজন ছিল প্রায় এক টনের মতো। এসব হামলায় কয়েকটি আবাসিক ভবন সমতলে পরিণত হয়।

এদিকে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলেছে, হিজবুল্লাহপ্রধানকে নিশানা করে চালানো হামলা সম্পর্কে অবগত ছিল মার্কিন প্রশাসন। ইসরাইলের এই অভিযানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন দেখছেন সংবাদমাধ্যমটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান হাউসের স্পিকার মাইক জনসন শুক্রবারের লেবাননে হামলার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। যদি শুক্রবারের রাতভর হামলায় অনেক বেসামরিক মৃত্যু নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই। তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাইডেন বলেছেন, ‘হাসান নাসরুল্লাহ এবং তার নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, চার দশকের সন্ত্রাসের রাজত্বে শত শত আমেরিকানকে হত্যার জন্য দায়ী। ইসরাইলি বিমান হামলায় তার মৃত্যু হাজার হাজার আমেরিকান, ইসরাইলি এবং লেবাননের বেসামরিক নাগরিক সহ তার বহু শিকারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে’।

পৃথক বিবৃতিতে কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং আমি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতকে বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হতে দেখতে চাই না। বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য কূটনীতিই সর্বোত্তম পথ’।

এছাড়া শুক্রবার এক ফোন কলে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী, স্থাপনা এবং ইসরাইলকে রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

১৬ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননের অভ্যন্তরে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ৩০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৫৬ জন মহিলা এবং ৮৭ জন শিশু। শুক্রবার নাসরুল্লাহ নিহত এবং বেশ কয়েকটি বড় আবাসিক ভবন ধ্বংস করা ব্যাপক ইসরাইলি হামলায় চূড়ান্ত মৃতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মৃতদেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।