ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় অজ্ঞাত রোগ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ জন। ইতিমধ্যে আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহাখালীর Institute of Epidemiology, Disease control & Research (IEDCR-) আইইডিসিআর থেকে একটি মেডিকেল টিম এ রোগ নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণে জন্য ঝিনাইদহে এসেছে। এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কাবস্থা।
একইভাবে পর দিন পার্শ¦বর্তী কোলা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এনামূল হক(২৬) এ রোগে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। আসমা খাতুনের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর মা ছকিনা খাতুন (৪৫) এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে মহেশপুর থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। এসব রুগির বুকে, পিঠে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এ রোগ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ভীতি দেখা দিয়েছে। ঢাকা মহাখালীর (IEDCR) আইইডিসিআর এর মেডিকেল অফিসার ও টিম লীডার ডা.মাহবুবুর রহমান বলেন প্রাথমিকভাবে এ রোগের তত্ত্ব, উপাত্ত এবং রোগীদের রক্তসহ সমস্ত জিনিস ওঊউঈজ নিয়ে যাওয়া হবে। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সঠিক রোগ নির্নয় করা সম্ভব হবে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন অজ্ঞাত এরোগের কারনে স্থানীয় সকল ডাক্তারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে ওই এলাকায়। গঠন করা হয়েছে একাধিক মেডিকেল টিম। এ পর্যন্ত মোট ১৬ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের সবাই চিকেন পক্সে আক্তন্ত বলে ধারণা করছে স্থানীয় ডাক্তাররা। তারপরও রোগ নির্ণয়ের জন্য ঢাকা মহাখালীর IEDCR থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম ঝিনাইদহে এসেছেন।
মেডিকেল টিম এ রোগ নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণে শেষে প্রতিবেদন দেয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।