স্বাস্থ্যের সার্বিক মানোন্নয়নে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

SHARE

hasinaপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার জনগণের সার্বিক স্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার সরকার দেশব্যাপী নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে।

খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক সাফল্যের সাথে কাজ করছে, যা ইতোমধ্যে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে একথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যথাযথ মর্যাদায় আজ বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার : সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার’।

প্রধানমন্ত্রী এবারের প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে বাণীতে বলেন, জনসাধারণের মধ্যে অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ কমাতে অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ হ্রাসের কোনো বিকল্প নেই। খাদ্য উৎপাদন, বিপণন, সংরক্ষণ, প্রস্তুতকরণ ও গ্রহণের যেকোনো পর্যায়ে খাদ্য অনিরাপদ হতে পারে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে সকল স্তরের খাদ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ভোক্তা, আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থাসহ সকলের ব্যাপক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপজেলা ও জেলা হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। তার সরকারের নেয়া এ সকল পদক্ষেপের সুফল এখন জনগণ পাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদেরকে পুরস্কৃত করেছে।

শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন সর্বস্তরের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে দেশের সকল দায়িত্বশীল মানুষ, সাধারণ ভোক্তা, বিপণনকারী ও প্রস্তুতকারীসহ সকলের মাঝে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে- বাণীতে এই প্রত্যাশা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।