ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল সোমবার সরকার সমর্থক ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। চলমান সংঘর্ষের কারণে সেখানে মানবিক সাহায্য পাঠাতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রস। এতে করে দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীরা।
আরব উপদ্বীপের দরিদ্র দেশটিতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী বিরোধী অভিযান চলছে।
স্থানীয় সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইয়েমেনে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী এডেনে। হুতি বিদ্রোহীরা গতকাল এডেনের একটি বন্দর দখলের চেষ্টা চালালে সেখানে থাকা বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবেদরাব্বো আল মানসুর হাদির সমর্থক বাহিনীর সঙ্গে তাদের লড়াই হয়। সংঘর্ষে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন যার মধ্যে ১৭ জনই বেসামরিক নাগরিক।
অপরদিকে এডেনের উত্তরাঞ্চলীয় দালেহ শহরে উভয় বাহিনীর এক রাতের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ হুতি বিদ্রোহী ও ১৫ হাদি সমর্থক নিহত হয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান প্রদেশের কাছে লাহজ সামরিক ঘাটিতে সৌদি নেতৃত্বোধীন কোয়ালিশন বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত ১০ হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। হাদি সমর্থকরা আবিয়ান শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। শাবওয়া প্রদেশেও কয়েকজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।
জাতিসংঘের দৃষ্টিতে ইয়েমেন সরকারের বৈধ প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদি। গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তরাঞ্চলীয় হুতি বিদ্রোহীরা হাদি সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী সানা দখল করে। হুতিরা ইরান সমর্থিত ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর সমর্থক বলে পরিচিত। হুতিদের কাছে উৎখাত হয়ে ইয়েমেনের বন্দরনগরী এডেনে আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদি।
গত মার্চে তিনি সেখান থেকে সৌদি আরবে চলে যান। এরপর গত ২৬ মার্চ হুতিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশি সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব দেশগুলো দেশটিতে অভিযান চালায়। হুতিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানের কঠোর সমালোচনা করছে ইরান।