শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের আসর এশিয়ান কাপ

SHARE

কাল শুরু হচ্ছে এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের আসর এশিয়ান কাপ। তৃতীয়বার যা বসছে কাতারে। সফলতম বিশ্বকাপ আয়োজন করায়, এবার কাতারও এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে এশিয়া ও বিশ্ববাসীর। মাসব্যাপি আসরের ফাইনাল ১০ ফেব্রুয়ারি।

দোহার বিখ্যাত সৌক ওয়াকিফ। কাতার ভ্রমনে পর্যটকদের আগ্রহ আর আকর্ষণের কেন্দ্রে। বিশ্বকাপের মত জমজমাট না হলেও এশিয়ান কাপকে সামনে রেখেও সেজেছে ঐতিহাসিক এই বাজার।

ঠিক তের মাস আগে যেখানে শেষ হয়েছিল বিশ্বকাপ সেই লুসাইল স্টেডিয়ামে শুক্রবার কাতার-লেবানন ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়ান কাপ। এক মাসের ফুটবল উৎসবে মাতবে এশিয়ার শীর্ষ ২৪ দেশ। সময়ের সাথে সাথে সৌক ওয়াকিফের মত পুরো কাতারই আরও জমজমাট হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

স্থানীয় একজন বলেন, আশা করি সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেকেই আবারও এখানে জমায়েত হবে, ফুটবলকে কেন্দ্র করে। এশিয়ার অন্য দেশ থেকেও আসবে।

আরেকজন বলেন, অনেকেই হয়তো কাতার কোথায় জানত না। কিন্তু বিশ্বকাপ আয়োজন করে তারা পুরো বিশ্বে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে। এশিয়ান কাপও তাকে এগিয়ে নেবে।

এশিয়ান পর্যটকদের ঢল নামবে নিশ্চিত। আর সেই সুযোগ করে দিতেই বিশ্বকাপের সময় প্রবর্তিত হায়া কার্ডের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। আগ্রহীদের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে প্রতিবেশি সৌদি আরব। সেটা বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দারুণ শুরু করায়, আগামী ২০২৭ এশিয়ান কাপ আর ২০৩৪ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ায়।

একজন সৌদি সমর্থক বলেন, আমরাও অপেক্ষায় আছি, এমন একটা আয়োজনের জন্য। পুরো বিশ্ব এশিয়ান কাপ ও বিশ্বকাপ দেখতে সৌদি আরবে আসবে।

মাঠে বসে খেলা দেখতেও আগ্রহীর সংখ্যা কম নয়। ইতোমধ্যে দশ লাখ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তৃতীয়বারের মত কাতার স্বাগতিক হয়েছে। নয় ভেন্যুর সাতটিই বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়েছে।

কাতারি স্পোর্টস চ্যানেল বেইন স্পোর্টস তিনটি চ্যানেল নামকরণ করেছে টুর্নামেন্টের নামে। বেইন স্পোর্টস এশিয়ান কাপ ওয়ান, টু ও থ্রি। প্রথম দুটি আরবি আর শেষটিতে ইংরেজি ধারাভাষ্য দেয়া হবে। এছাড়া বেইন স্পোর্টস নিউজও ১৬ ঘন্টা সরাসরি সম্প্রচার করবে প্রতিদিন।

মাঠের পারফরম্যান্সে স্বাগতিকদের আগ্রহই গতিপথ ঠিক করবে টুর্নামেন্ট ঘিরে কাতারিদের আগ্রহের। তারাই যে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। এছাড়াও শিরোপার লড়াইয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ইরাক।