যুক্তরাষ্ট্র পারমানবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরানের সাথে জুন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবেন বলে আশাবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তবে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, সমঝোতার বিষয়টি এগিয়ে নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
যদিও সমঝোতাটিকে এই অঞ্চলের জন্য হুমকি বলে বর্ণনা করেছে ইসরাইল । কিন্তু একে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলছিলেন, এই সমঝোতা আমেরিকা আর ইরানের দীর্ঘদিনের তিক্ত সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটাবে। কিন্তু সমঝোতাটিকে একটি পরিপূর্ণ চুক্তিতে নিয়ে যাওয়াটা দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলছিলেন, এখন আসলে একটি সমঝোতা হয়েছে। একটি পরিপূর্ণ একটি চুক্তিতে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু রিপাবলিকানরা এর মধ্যেই এর বিরোধিতা করছে। এর মধ্যেই তারা আরো অবরোধ বৃদ্ধির একটি বিলও এনেছে। আবার আমেরিকায় ইসরাইরেরও শক্ত লবি রয়েছে। আবার মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু অনেক দেশের এই সমঝোতা পছন্দ নাও হতে পারে। সমঝোতাটি বাস্তবায়নে এসব বিষয় বাধা হয়ে উঠতে পারে।
কিন্তু যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও নিরাপত্তা পরিষদের অপর চারটি দেশ আর জার্মানিও এর সাথে যুক্ত রয়েছে, এবং তারাও এই সমঝোতার একটি অংশ, তাই আমেরিকা এই সমঝোতা কার্যকরে আন্তরিক হবে। বলছিলেন মি. রিয়াজ।
এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ঘোষণা দিয়েছেন যে, পারমানবিক কর্মসূচির বিষয়ে এখন যে সমঝোতা হয়েছে, সেটাকে যতদিন পশ্চিমা দেশগুলো সম্মান দেখাবে, ততদিন তার দেশও সেটি মেনে চলবে।
একটি টেলিভিশন বক্তৃতায় তিনি বলেন, তার দেশের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি যে কোনো হুমকি নয়, সেটি পশ্চিমা দেশগুলো এখন বুঝতে পেরেছে।
সমঝোতা অনুযায়ী, ইরান তার পারমানবিক সেন্ট্রি ফিউজ দুই তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সমঝোতার বিষয়টি ইরান অবশ্যই মেনে চলবে।– বিবিসি