সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ছয় দাবি বিএনপির

SHARE

city election bnpসিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ছয় দফা দাবি পেশ করেছে বিএনপি। দলীয় ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয় খুলে দিতে অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশনকে। গতকাল বুধবার বিকেলে বিএনপির প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করে এসব দাবি জানায়। তবে সিইসি জানিয়েছেন, সেনা মোতায়েন করা হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। নির্বাচন কমিশনে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ সাংবাদিকদের জানান, ভোট গ্রহণের অন্তত ১৫ দিন আগে সেনা মোতায়েন চায় তার দল। তিনি বলেন, ‘প্রার্থীরা যাতে ভোটারদের কাছে যেতে পারেন, সে জন্য আমরা সেনা মোতায়েনের দাবি করেছি। নির্বাচনী এলাকায় যাতে সন্ত্রাসী-মাস্তানি না হয়, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

এর প্রায় এক ঘণ্টা পর কমিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কাজী রকিবউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন করার বিষয়ে কমিশনের ১৯ এপ্রিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। বিএনপির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব সময়ই বলেছি, সবার জন্যই আইন সমান।’ বিএনপির কার্যালয়ের তালা খুলে দেওয়ার অনুরোধ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন, তারা এসব বিষয়ে আইনগতভাবেলড়বেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্য জমির উদ্দিন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দুটি পার্টি অফিসে তালা, এটি মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ব্যক্তির নামে মামলা আছে। এই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের ধরার নামে যেন আমাদের দলীয় লোকদের ধরে নিয়ে যাওয়া না হয়। যারা জামিনে আছেন, তাদের যেন হয়রানি না করা হয়।’

বিএনপির এসব দাবি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আইনের বিষয়ে আমাদের কিছুই করণীয় নেই। গ্রেফতারের ভয়ে যেসব প্রার্থী আত্মগোপনে রয়েছেন, তাদের আমরা কীভাবে খুঁজে বের করব?’ সিইসি বলেন, ‘যারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে নির্বাচনী প্রচারকাজ চালাবেন, তাদের জন্য এক ব্যবস্থা আর যারা আত্মগোপনে থেকেই নির্বাচন করতে চান তাদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা।’সিইসির বক্তব্যে বিএনপি সন্তুষ্ট কি-না? এ প্রশ্নে বিএনপির প্রতিনিধি জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘সন্তুষ্ট কি-না তা সিইসির কাজের ওপর নির্ভর করছে।’ঢাকা উত্তরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র করণিক ভুলের কারণে বাতিল হয়েছে বলে দাবি করেন হান্নান শাহ। বিষয়টি সিইসিকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘যথাসময়ে আপিলের আবেদন করলে আইন অনুসারে এসব বিষয় দেখা হবে। নথিপত্র সুচারুভাবে দেখা হবে। এখানে কারও প্রতি কোনো অবিচারের সুযোগ নেই।’

হান্নান শাহ বলেন, ‘ভোটের আগেই কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছি, যাতে বিতর্কিত কেউ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে না পারেন।’ এ প্রসঙ্গে সিইসির জবাব, ‘ইসির নিজস্ব জনবল তেমন নেই। আমরা নির্বাচনের সময় সাধারণত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে থাকি। আগেভাগেই নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নামের তালিকা সব প্রার্থীর কাছে পাঠানো হবে। কোনো কর্মকর্তার বিষয়ে আপত্তি থাকলে আমরা অবশ্যই তা ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করব।’বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিকেল ৩টার দিকে হান্নান শাহ, জমির উদ্দিন সরকার, দলীয় নেতা সৈয়দ সুজাউদ্দিন ও মুশফিকুর রহমান, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আবদুর রশীদ সরকারসহ বিএনপির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যায়।