এই শিরোনামে আজ কলকাতার আজকাল একটি প্রতিবেদন ছেপেছে।
আজকাল লিখেছে, রেগে আগুন, তেলে বেগুন! অভিযোগ, বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন তার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা হয়েছে৷ করেছেন আই সি সি চেয়ারম্যান নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন৷ চূড়ান্ত অসম্মানিত বোধ করায় মেলবোর্নের মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন আই সি সি সভাপতি মুস্তাফা কামাল৷ ম্যাচের পর বিশ্বজয়ী দলের অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের হাতে কাপ তুলে দেন শ্রীনিবাসনই৷ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, যাবতীয় কলকাঠি নাকি শ্রীনিই নেড়েছেন৷ আর তাতেই চটে লাল কামাল! ‘সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত’ কামালের হুমকি, আইসিসি-তে কী চলছে, জানিয়ে দেবেন গোটা বিশ্বকে!
আইসিসি-র সংবিধান উল্লেখ করে কামাল জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দেওয়ার কথা আই সি সি-র সভাপতিরই৷ কামাল বলেছেন, ‘এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাকে তা করতে দেওয়া হয়নি৷ কারণ কী, জানি না৷ আমার অধিকারকে অসম্মান করা হয়েছে৷’
মেলবোর্নে বসে বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কামাল বলেছেন, ‘বাড়ি ফেরার পর গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেব আইসিসি-র অভ্যন্তরে কী চলছে৷ জানিয়ে দেব, কারা এসব কাণ্ডকারখানা ঘটাচ্ছে৷’
কামাল মনে করেন, ‘সত্যি বলার’ খেসারত দিতে হলো তাকে৷ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশ হারার পর আম্পায়ারের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে সরব হয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম ক্রিকেট-কর্তা কামাল৷ এই ব্যাপারটাই নাকি মানতে পারেননি শ্রীনি৷ ক্ষুব্ধ হয়েছেন সভাপতির ওপর৷ কামাল বলেছেন, ‘আমি তো কোনো দেশের বিরুদ্ধে মন্তব্য করিনি৷ আমি মন্তব্য করেছিলাম, খারাপ আম্পায়ারিং নিয়ে৷ এমনকি আইসিসি একটি প্রেস বিবৃতিও প্রকাশ করেছিল৷ আমি প্রেসিডেন্ট ছিলাম, আছি এবং থাকব৷ সত্যি বলার জন্য, ক্রিকেটের স্বার্থে বলার জন্য আমার অধিকার কেড়ে নেওয়া হলো৷’