মহিলাদের ক্ষমতায়ন মানে যৌনতা নয়: সোনাক্ষী

SHARE

sonakkhi1সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘মাই বডি, মাই মাইন্ড, মাই চয়েস’ ভিডিওটি, সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া পেলেও, দীপিকার সহঅভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা এর সরাসরি সমালোচনা করেছেন।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে মুক্তি পেয়েছে হোমি আদজানিয়া ও দীপিকা পাড়ুকোনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি শর্ট ফিল্ম ‘মাই বডি, মাই মাইন্ড, মাই চয়েস’। এই ভিডিওতে মহিলার ক্ষমতায়ন নিয়ে বলা হয়েছে। তিনি কাকে বিয়ে করবেন, কার সঙ্গে থাকবেন, বিয়ের আগে সেক্স করবেন না পরে, সন্তানের জন্ম দেওয়ার ইচ্ছে, সম্পূর্ণটাই একজন মহিলার সিদ্ধান্ত, বলা হয়েছে ভিডিওতে।  সোশ্যাল মিডিয়াতে মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে এই ভিডিওটি যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনই বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার সম্মুখীনও হয়েছে।

টেলিচক্কর.কম নামের ওয়েবসাইটে সোনাক্ষী সিনহা বলেছেন, তিনি ভিডিওটা দেখেননি। তবে যতটা শুনেছেন, তাতে তার মনে হয়েছে, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে দীপিকা বলতে চেয়েছেন। যে বার্তাটা এই ‘মাই বডি, মাই মাইন্ড, মাই চয়েস’ দিতে চেয়েছে তা নিঃসন্দেহে খুবই ভাল উদ্যোগ,  কিন্তু মহিলাদের ক্ষমতায়ন শুধু যৌনতা, শরীরের মাপ বা বিয়ে করাতে আটকে নেই দাবি সোনাক্ষীর। তিনি মনে করেন, যথেষ্ট বিলাসিতার মধ্যে বড় হলে ক্ষমতায়ন ও তার প্রয়োজনীয়তা বাস্তবে বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু পোশাক, সাজ, বিয়ে, যৌনতার অনেক উর্দ্ধে মহিলাদের ক্ষমতায়ন। মহিলাদের ক্ষমতা বাড়বে যদি শিক্ষার আলো প্রত্যেকের কাছে সঠিক ভাবে পৌঁছোয়, প্রতিটি নারী সম্মানের সঙ্গে অর্থ উপার্জন করতে পারে। সোনাক্ষীর ভাষায় সেই সমস্ত নারী যারা সমাজে বেঁচে থাকার জন্যে প্রতিমুহূর্তে লড়াই করছে, তাদের যদি ক্ষমতায়ন হয়ে, তাহলেই হবে মহিলাদের আসল ক্ষমতায়ন।

যখন দীপিকার ভিডিও-র প্রশংসায় মুখর সমাজের বিভিন্ন মহল, তখনই সোনাক্ষীর এই কড়া সমালোচনা, নিঃসন্দেহে মানুষকে আরেকটু ভাবতে শেখাবে।