‘নির্বাচনকালীন সরকারের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর’

SHARE

নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কেমন হবে, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন-এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ইচ্ছা করলে এই সরকারের আকার ছোটও করতে পারেন, যেটা ভালো মনে করবেন, সেটাই করবেন। এটা অন্য কারও ভাবনার বিষয় নয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি আওয়ামী লীগ বাদ দেয়নি। উচ্চ আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। এখন আর প্রয়োজন নেই-এ জন্য আদালত এটা বাতিল করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগের তো কোনো বিষয় না। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনকে যেভাবে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, সেখানে তারাই সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন আয়োজন করবে। এখানে সরকার নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনগুলো মেটাবে। পুলিশবাহিনীও নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা, সরকারী সংস্থা-তারাও নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার তখন রুটিন ওয়ার্ক করবে। মেজর কোনো পলিসি ডিসিশন নিতে পারবে না। দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশেও এটাই হয়।
মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ওবায়দুল কাদের উল্লিখিত এসব কথা বলেন। ঘণ্টাব্যাপী আলাপকালে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রস্তুতি, ইশতেহার প্রণয়ন, প্রার্থী বাছাই, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিএনপির আন্দোলন, নির্বাচনের আগে সংলাপ বা আলোচনার সম্ভাবনা, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশিদের কার্যকলাপসহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিচে তুলে ধরা হল-
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিসহ বিরোধীদের সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ বা আলোচনার সম্ভাবনা আছে কি না-জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেরাই তাদের দফা বলে দিয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, ইসির পদত্যাগ-এগুলো না হলে তারা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি নয়। নির্বাচন কমিশন তাদের দুইবার ডেকেছিল, তারা যায়নি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি একবার তাদের ডেকেছিলেন, সেখানেও তারা (বিএনপি) যায়নি। আসলে তারা এসব আলোচনার পক্ষে নয়। এখন সরকার কি গায়ে পড়ে আলোচনা করবে, বিএনপি তো সরকারেরই পদত্যাগ চায়।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রস্তুতি কেমন চলছে? মূল প্রতিশ্রুতি বা নির্বাচনি ইশতেহারের মূল প্রতিপাদ্য কী হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি তফশিল ঘোষণা করলে নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বা ১০ তারিখের মধ্যে হতে পারে। কারণ, বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আছে। এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। ফলে নির্বাচনের তো খুব বেশি দেরি নেই। নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি আরও ছয় মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এখন সেটা আরও জোরদার হচ্ছে।
নির্বাচন সামনে রেখে জোট-মহাজোটের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা নির্বাচন হয়তো এককভাবে করব না। আমাদের ১৪ দলীয় জোট তো আছে, থাকবেই। আরও বেশি কিছু দল আছে, যারা জোট করার পক্ষপাতী। শেষ পর্যন্ত কারা আসে, কতটা বড় হয়-এগুলো আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দলের প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিটি নির্বাচনেই আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়। এটা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও করে আবার আমাদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি ব্যক্তিগতভাবেও করেন। ছয় মাস পরপরই এই রিপোর্টগুলো তার কাছে জমা হয়। এগুলো দেখে কোথায় কার কী অবস্থা, কার কেমন জনপ্রিয়তা-এসব বিষয় এসেসমেন্ট করেন। এ প্রক্রিয়াগুলো আমাদের চলে আসছে। এটা এখন শেষ পর্যায়ে। এখন শেষ পর্যায়ের অনুসন্ধান চলছে। যারা আগ্রহী এবং যারা বর্তমানে এমপি আছেন, অবস্থা বুঝে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কোথাও কিছু কম থাকলে সেটা নিরসনের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। আমাদের আট সাংগঠনিক বিভাগে যে আটটি কমিটি আছে, এ কমিটিগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনের সম্মেলনের পাশাপাশি তারাও খোঁজখবর নেয়। তারা তাদের সাংগঠনিক রিপোর্ট নেত্রীর কাছে জমা দেয়। এর সবকিছুই বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আছে আমাদের দলের মনোনয়ন বোর্ড। সেই বোর্ড জনগণের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে বেছে নেবে।
ইশতেহারের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ তথ্য জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ইশতেহার প্রণয়নের জন্য একটা কমিটি ইতোমধ্যে করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে অনেক দূর এগিয়েও গেছে। আমাদের দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা এটা করেছেন। এছাড়া আমাদের উন্নয়ন ইতোমধ্যে যেগুলো হয়েছে এবং সামনে যা আমরা করব, সেগুলো থাকবে। উন্নয়ন ও আধুনিকতার দিক থেকে গ্রামগুলোকে শহরের পর্যায়ে উন্নীত করার কাজ আমরা করে যাচ্ছি-এসব বিষয় আমাদের এবারের পরিকল্পনার মধ্যেও আছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমরা প্রতিবারই বাড়াচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রীর সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলা করেছি। বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি, যা উন্নত দেশও দিতে পারেনি। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে। তিনি দিনরাত কাজ করেন। তিনি বড়জোর সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমানোর সময় পান। বাকি সময় তিনি দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করেন। কোথায় কী সমস্যা, সমাধান কীভাবে করতে হবে-এগুলো নিয়ে প্রতিনিয়তই কাজ করেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যুদ্ধের কারণে আমরা সমস্যায় পড়েছি। বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। রিজার্ভ আমরা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছিলাম, সেটা এখন নেমে গেছে। এখানে ডলার সংকটও আছে। আমরা চেষ্টা করছি সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য। আর আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দ্রব্যমূল্য। আমরা নানাভাবে চেষ্টা করছি-কিভাবে দ্রব্যমূল্য মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা যায় সেটা আমাদের এই মুহূর্তে মূল ভাববার বিষয়। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ-সংঘাত ভয়ংকর অবনতির দিকে যাচ্ছে। সেটা ভবিষ্যতে কার অবস্থা কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবে, এটা এই মুহূর্তে অনুমান করা কঠিন। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। অন্যদিকে দেশে দেশে যুদ্ধ। সর্বশেষ ইসরাইল ও হামাসের যুদ্ধ। যুদ্ধটা কেন যেন ছড়িয়ে পড়ছে। সবাই জোটবদ্ধ হচ্ছেন। বিভিন্ন জোট আমরা দেখছি। জোটের সমীকরণে কোন বিষয় কোন দিকে গড়াবে বলা অত্যন্ত মুশকিল।
সড়ক, পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্র শতভাগ ত্রুটিমুক্ত-এটা আমরা মনে করি না। গণতন্ত্র পৃথিবীর কোথাও ত্রুটিমুক্ত নয়। যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করতে পারে না-তাদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত। তাদের গত নির্বাচনের পর তাদের গণতন্ত্রের ত্রুটি ধরা পড়ে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ পর্যন্ত নির্বাচনের ফল মেনে নেয়নি। এ অবস্থায় তাদের ২০২৪ সালের নির্বাচন সামনে। এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একের পর এক তদন্ত হচ্ছে। অভিযোগ চলছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেও বলেছেন-ট্রাম্প গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চান। তিনি আরও বলেন, এখন আসলে এদিকে রাশিয়া, ওদিকে চায়না-এই শক্তি বলয়ের মধ্য দিয়ে ব্যালেন্স করে চলার বিষয় আছে। এদিকে আছে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বন্ধুরাষ্ট্র ভারত। বিশ্বব্যাপী জোটগত উপকরণগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে চলার ক্ষেত্রে নেতৃতত্বের ম্যাচিউরিটি ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হয়। এটা আমাদের নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) খুব সুচারুভাবে করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে রেখে কিছু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার নানামুখী তৎপরতা আমরা দেখছি। এগুলো কি তাদের রুটিনওয়ার্ক নাকি এর মধ্যে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে?-এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে, যদি বলে নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি- আমরা বলব-তা নিয়ে তো আমাদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কারণ ভিসানীতি আর নিষেধাজ্ঞা তাদের বিরুদ্ধে আসবে যারা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে। যারা এই নির্বাচনে বাধা দেবে তারা ভিকটিম হবে। আমরা কেন ভিকটিম হব? আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে চাই। ভায়োলেন্স করা আমাদের লক্ষ্য না। সেটাতে আমাদের ক্ষতি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি কেন এই বিষয়গুলো জটিল করতে চাইছে, এবং রাজনীতির নামে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে? এখন তারা নির্বাচনে বাধা দিলে তো তারাই এই ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের নির্বাচন আমাদের সংবিধান অনুযায়ী করতে চাই। নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা নেই। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে অসুবিধা কোথায়? সম্প্রতি চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। বিএনপি এই নির্বাচনে অফিশিয়ালি অংশ নেয়নি। তবুও ভোটার উপস্থিতি ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। দেশের মানুষ নির্বাচনকে আস্থায় নিয়েছে। বিএনপির অভিযোগ যে সঠিক নয়, সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি এমন একটা দল, তাদের কাছে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তখনই হবে যখন তাদের নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দেওয়া হবে।
একটি গবেষণার বরাত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ৭০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেন। বিএনপি জানে নির্বাচন করলে তারা টিকতে পারবে না। তারা জানে, নির্বাচনে ভোটাভুটিতে তারা হেরে যাবে। সে কারণে এখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এগুলো বলছে। কেন? তারা কখনো বলে-জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন, কখনো বলে বিদেশিরা এখানে এসে প্রভাবিত করবে। এগুলো তো হয় না। আমরা আমাদের সংবিধানে যে বিধিবিধান আছে, এটা মেনেই আমরা নির্বাচন করব। এটা নিয়ে আপত্তি করার কিছু নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আসলে বিএনপি এসব উদ্ভট বিষয়গুলো নিয়ে আসছে। কারণ তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। আগুন-সন্ত্রাস, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ তাদের পুরোনো অভ্যাস। তারা এগুলোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের একদফা তো আছেই আবার বলছে অক্টোবরে সরকারের পতন ঘটাবে। দেখা যাক, আমরাও প্রস্তুত আছি। আমরা সভা-সমাবেশ করছি। শান্তির পক্ষে। তারা যে অশান্তি করবে বা করছে এটার বিরুদ্ধে আমরা শান্তির সমাবেশ করছি। শান্তির সমাবেশ থেকে বিএনপির আন্দোলন বা মিছিলে কোথাও আওয়ামী লীগ একটা ভায়োলেন্ট করেনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ-সদস্য ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আছেই। আমরা চেষ্টা করছি বিভাগীয় কমিটিগুলোর মাধ্যমে এ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে। এ বিষয়ে নেত্রী (শেখ হাসিনা) নিজেও অনেককে ডেকে কথা বলেছেন। আমরাও ডেকে কথা বলছি। বিভাগীয় কমিটিগুলোও সেখানে যাচ্ছে বা ঢাকায় ডেকে এনে এগুলো সমাধানে কাজ করছে। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে কিন্তু একই দলের মধ্যে বিষোদগার করা বা কাদা ছোড়াছুড়ি করা অপ্রত্যাশিত। কাজেই এ ব্যাপারে আমরা সজাগ ও সচেষ্ট আছি।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী ইতোমধ্যে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে নতুন করে আমি কিছু বলতে চাই না। এটা আইনগত ব্যাপার আইনগত ভাবেই সমাধান হতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ব্যাপারে নজির আছে।