ঢাকা (উত্তর-দক্ষিণ) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সম্ভাব্য প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের ছাড় দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সোমবার দুপুরে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন, রবিবার ঢাকা উত্তর সিটির সম্ভাব্য এক মেয়র প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। সুতরাং আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কেউ ছাড় পাবে না। অবশ্যই তাদের বিধি অনুসারে সাজা দেওয়া হবে।
তিনি জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে পারেন তার জন্য তিন সিটিতে ৬টি করে মোট ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। বিধি লঙ্ঘন করলেই তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।
সচিব আরও জানান, নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণের দিন থেকে পূর্ববর্তী ২১ দিন আগে অর্থাৎ ৭ এপ্রিলের পূর্বে প্রচারণা চালানো যাবে না। ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর প্রার্থীরা চূড়ান্ত প্রচারণা চালাবেন। তবে বিনাপ্রতীকে প্রার্থীরা তিনদিন সীমিত আকারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।
সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১০ এর অনুচ্ছেদ ৪-এ নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘কোনো প্র্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না।’
বিধি অনুসারে, ভোটগ্রহণ দিন থেকে পূর্ববর্তী ২১ দিন প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে সেখানে প্রার্থীর ছবি, দলীয় প্রতীক ও দলের নাম ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।
তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ মার্চ, যাচাই-বাছাই ১ ও ২ এপ্রিল এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ১০ এপ্রিল, ভোটগ্রহণ ২৮ এপ্রিল।