রাষ্ট্রযন্ত্রই দুর্নীতি প্রসারে দায়ী : মতিয়া চৌধুরী

SHARE

motiyaদেশে দুর্নীতি প্রসারে রাষ্ট্রযন্ত্রই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে সততা সংঘের সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্র যদি দায়িত্ব না নেয় অথবা রাষ্ট্রের পরিবেশ যদি অসুস্থ থাকে তাহলে দুর্নীতিমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। রাষ্ট্রযন্ত্র যদি দুর্নীতি করে তাহলে দুর্নীতি প্রসার লাভ করে। রাষ্ট্র কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নয়। রাষ্ট্র নিজে চলে না। তার নিয়ম-কানুন ও শাসন কাঠামোর ভিতর দিয়ে পরিচালিত হয়। সেখানে যদি দুর্নীতি করা হয়, তাহলে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, মানুষের চাহিদা মেটাতে রাষ্ট্রের উদ্যোগ নিতে হবে। মানুষ অসৎ হয়ে জন্ম নেয় না, পরিবেশ তাকে অসৎ করে।

উন্নয়ন সহযোগীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংগঠনের শর্তগুলো অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত নয়, তাদের শর্তই দুর্নীতিযুক্ত।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে আগের চেয়ে গণসচেতনতা বেড়েছে। আমরা যদি স্বুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মনে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তুলতে পারি তাহলে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সহজ হবে।

আজকের দিনে জলবায়ু ও পরিবেশ সংরক্ষণ সবচেয়ে বেশি দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, কোমলমতী ছেলে-মেয়েদের দুর্নীতিবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য হল তারা যেন এ কাজ শুরু থেকেই শেখে।

সততা সংঘের ছাত্র-ছাত্রীদের সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত জীবন গড়ে তোলার উপদেশ দেন তিনি।

বিশেষ অতিথি দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই দুদক নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছে। দুর্নীতি একটি গুরুতর অপরাধ। আর ইতিহাসকে বিকৃত করা হল সব চেয়ে ভয়ংকর দুর্নীতি। যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না, যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে চায় তারা সব চেয়ে বড় ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ। এ দুর্নীতিবাজরা প্রতিনিয়ত মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।

বিশেষ অতিথি দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতি বাংলাদেশের অগ্রগতির বড় বাধা। সেই বাধা অতিক্রম করার জন্যই আমরা সততা সংঘের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্যে দুর্নীতিমুক্তি ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০১৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দুদক সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, মহাপরিচালক ড. মো. সামসুল আরিফিন, মো. শহিদুজ্জামানসহ কমিশনের অন্যন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকমণ্ডলীরা উপস্থিত ছিলেন।