সিটি নির্বাচনের আগে সাঁড়াশি অভিযানের পরিকল্পনা ডিএমপির

SHARE

ovijanঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ সপ্তাহব্যাপী ‘বিশেষ নিরাপত্তা অভিযানের’ পরিকল্পনা করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ‘ব্লক রেইড’ নামে এ অভিযানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা অংশ নেবেন।

ডিএমপি গতকাল থেকে এ অভিযান শুরু করতে চাইলেও পুলিশ জানিয়েছে এ জন্য তারা এখনও প্রস্তুত নয়।

সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত একটি নোটিস অপরাধ বিভাগসহ সকল উপকমিশনারের কাছে পাঠানো হয়। এতে চার বাহিনী থেকে ২০ জন করে ৮০ সদস্যের একটি দল তৈরির কথা বলা হয়েছে। আটটি দলে ভাগ করে ‘অপরাধপ্রবণ’ আট এলাকায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ বিশেষ অভিযান পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। নোটিসে উল্লেখিত এলাকা হচ্ছে- রমনা, লালবাগ, মতিঝিল, ওয়ারি, তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর এবং উত্তরা।

ডিএমপির নোটিসটি বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর এম. ফজলে রাব্বি, র‌্যাব-১, ২, ৩, ৪ ও ১০ এর কমান্ডিং অফিসার এবং ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনারদের (অপরাধ) বিশেষ এই অভিযানের নেতৃত্বে রাখা হয়েছে। ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার মীর রিয়াজুল আলমকে (অপরাধ) অভিযান সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির এক কর্মকর্তা গতকাল বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ এবং বোমা হামলা চালাচ্ছে। তারা অপরাধী, মাদকাসক্ত এবং ছিনতাইকারীদের এসব নাশকতামূলক কাজের জন্য বিরাট অংকের টাকা দিচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের আটক করতে ডিএমপি ঢাকায় অভিযান করবে। পুলিশের উপকমিশনারদের ‘সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে’ অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, গোপন অভিযানের পরিবর্তে প্রকাশ্য অভিযান পরিচালনার জন্য ডিএমপি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে। যাতে মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখতে পারে।

অভিযান সফল করতে যৌথ বাহিনী খ্যাতিমান ব্যক্তি, জনপ্র‌‌‌তিনিধি, কমিউনিটি পুলিশ এবং বিট পুলিশ সদস্যের সহযোগিতা নিতে পারবে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকার নির্বাচনের আগে ‘নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করতে চায়। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কাউকে নষ্ট করতে দেওয়া হবে না এবং নির্বাচনের সময় কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ মার্চ।